পেহেলগামে হামলার পর কাশ্মীরজুড়ে হাজার হাজার ভারতীয় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে সব এলাকা। সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে চেকপয়েন্ট। এরপরও সেখানে বন্দুকধারীদের গুলির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু তাদের শনাক্তে সেনাদের অনাগ্রহ জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি করছে।
দ্য ওয়্যারের বরাতে আলজাজিরা জানিয়েছে, এবার নিজ বাড়ির বাইরে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত কাশ্মীরি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলায় অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা ৪৪ বছর বয়সী গুলাম রসুল মাগ্রেকে গুলি করে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন স্থানীয়রা। রোববার শ্রীনগরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মাগ্রেকে তার বাড়ি থেকে টেনে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর বাসভবনের বাইরে গুলি করা হয়।
জম্মু ও কাশ্মীরের আইনসভার সদস্য খুরশিদ আহমেদ শেখ রোববার সকালে মাগ্রেয়ের পরিবারের সাথে দেখা করেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ ঘটনাটি উপেক্ষা করায় তাকে এক হাত নেন তিনি।
শেখ বলেন, একজন মানুষ এবং একজন অন্ধ মায়ের একমাত্র ভরসাস্থলকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের কেউ তাদের সাথে দেখা করার জন্য মাথা ঘামায়নি। আমি দুই ঘণ্টা ধরে এখানে আছি। কিন্তু কেউ আক্রমণকারীদের খুঁজে বের করতে আগ্রহী বলে মনে হচ্ছে না। তিনি কি (আবদুল্লাহ) এই বার্তা দিতে চাইছেন- কেবল পেহেলগামে হত্যাকাণ্ডই তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং একজন কাশ্মীরি নাগরিকের মৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ নয়?
এদিকে ভারতের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করলেন খালিস্তান আন্দোলনের নেতা। রোববার (২৭ এপ্রিল) এএফপির বরাতে এ তথ্য প্রচার করে জিওটিভি নিউজ।
খালিস্তান আন্দোলনের নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুন পাকিস্তানের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেছেন, তারা ভারতীয় সেনাবাহিনীকে পাঞ্জাবের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানে আক্রমণ করতে দেবে না।
তিনি বলেন, আমরা ভারতীয় সেনাবাহিনীকে পাঞ্জাবের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানে আক্রমণ করতে দেব না। পান্নুন স্পষ্টভাবে বলেন, পাকিস্তানে আক্রমণ করার সাহস ভারতের নেই।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তানের জনগণের পাশে আছি। আমরা ২০ মিলিয়ন শিখ ইটের প্রাচীরের মতো পাকিস্তানের পক্ষে দাঁড়াব।
মন্তব্য করুন