ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার এ হামলাকে সামনে রেখে বিভিন্ন প্রশ্ন সামনে আসছে। এমনকি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে কেন্দ্র সরকারকেও এ নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে। হামলার দিন পহেলগামে সেনা ছিল না কেন তারও উত্তর দিয়েছে সরকার।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈঠকে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী প্রশ্ন তোলেন, হামলার সময় বাইসারান এলাকায় কোনো নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন ছিল না কেন। এই প্রশ্নে সমর্থন জানিয়েছেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং আম আদমি পার্টির সংসদ সদস্য সঞ্জয় সিংসহ অন্য নেতারাও।
সরকার পক্ষ জানায়, প্রতি বছর জুন মাসে শুরু হওয়া অমরনাথ যাত্রার আগে সাধারণত বাইসারানে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। কিন্তু এ বছর এপ্রিলের ২০ তারিখ থেকেই স্থানীয় ট্যুর অপারেটররা সেখানে পর্যটক নিয়ে যেতে শুরু করেন, যা প্রশাসনকে অবহিত না করেই করা হয়। ফলে তখনো কোনো নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়নি।
বৈঠকে বিরোধীরা ভারতের যদি পর্যাপ্ত জলাধার না থাকে, তবে কেন সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করা হলো তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। জবাবে সরকার পক্ষ জানায়, এই সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিক ফলের জন্য নয়, বরং এটি একটি প্রতীকী ও কৌশলগত পদক্ষেপ। সরকারের ভাষায়, এটি আমাদের কঠোর অবস্থান তুলে ধরার বার্তা। ভবিষ্যতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে, সেই ইঙ্গিতও এতে স্পষ্ট।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বৈঠকের শুরুতে দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন। গোয়েন্দা ব্যুরোর পরিচালক তপন ডেকা একটি বিশদ উপস্থাপনায় হামলার সময়রেখা, গোয়েন্দা তথ্য এবং ঘটনার পর নেওয়া পদক্ষেপ ব্যাখ্যা করেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা, এনসিপি-এসপির সুপ্রিয়া সুলে, প্রফুল্ল পটেল, বিজেডির সসমিত পাত্র, শিব সেনার শ্রীকান্ত শিন্দে, আরজেডির প্রেমচাঁদ গুপ্ত, ডিএমকের তিরুচি শিভা এবং সমাজবাদী পার্টির রাম গোপাল যাদব প্রমুখ নেতা।
মন্তব্য করুন