ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এ সময় তারা রাষ্ট্রপতির কাছে দুটি লাল ফাইল জমা দেন। এ ফাইল ঘিরে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
কেউ কেউ বলছেন, এই ফাইল দুটি কি যুদ্ধের অনুমতি ও ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত? আর যদি যুদ্ধের অনুমতি চাওয়ার ফাইলই হয় তবে কি নির্দেশনা দিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি? তিনি কি সত্যিই যুদ্ধের অনুমতি দিয়েছেন?
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার ও এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পর্যটন কেন্দ্র পহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় সংসদে একটি সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্র অনুযায়ী, এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর রাষ্ট্রপতির কাছে দুটি লাল ফাইল পেশ করছেন।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করা ওই লাল ফাইল নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। সুশান্ত হালদার নামের এক ব্যবহারকারী লিখেন, অতি জরুরি সময়ে এই ফাইল নিশ্চয়ই কোন চুক্তি বা ব্যবসায়িক ফাইল নয়। কিন্তু কী আছে ওই লাল ফাইলে?
তিনি উল্লেখ করেন, আমার জানা তথ্য মতে, একটা ফাইল যুদ্ধ শুরুর এবং আরেকটি ফাইল অতি বিরূপ পরিস্থিতিতে দেশের সর্বশেষ শক্তি ব্যবহারের গ্রিন সিগনালের ফাইল।
এদিকে কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সুফি পরিষদ। অল ইন্ডিয়া সুফি সাজ্জাদানাশিন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সৈয়দ নাসিরউদ্দিন চিশতী বলেন, পাকিস্তান নিজেকে ইসলামী দেশ বলে দাবি করে, কিন্তু প্রতিবেশী দেশের প্রতি কী দায়িত্ব থাকা উচিত, তা বোঝা উচিত তাদের। ইসলামে এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার কোনো স্থান নেই।
তিনি বলেন, ভারত সরকার ইতোমধ্যেই স্পষ্ট করেছে কারা এই হামলার পিছনে রয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর শক্তি সবাই জানে। পাকিস্তান যতই পিছু হটে, ভারত তাদের শাস্তি দেবে।
এই ঘটনার পর কংগ্রেসের মুখপাত্র কেসি বেনুগোপাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পহেলগাম একটি উচ্চ নিরাপত্তা বেষ্টিত অঞ্চল। এখানে তিনস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। সেক্ষেত্রে এমন ভয়াবহ হামলা কীভাবে সম্ভব হলো, তা নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত হওয়া জরুরি।
তিনি আরও বলেন, এই এলাকা সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন। জনগণের স্বার্থেই নিরাপত্তা ব্যবস্থার গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা দরকার।
মন্তব্য করুন