ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের সংঘর্ষ হয়েছে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশটির কর্মকর্তারা জানান, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর তীব্র বন্দুকযুদ্ধ চলছে। জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাম জেলার তানিমার্গ এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। সোমবার পেহেলগামে ২৬ জন নিরীহ পর্যটককে হত্যা করার একদিন পরই এই অভিযান শুরু হয়েছে।
সূত্র জানায়, আজ সন্ধ্যায় এই এনকাউন্টার শুরু হয়েছে। দুই সন্ত্রাসী ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের গুলি করে হত্যা করে। এর কয়েক ঘণ্টা পরই কুলগামে শুরু হয় এই সংঘর্ষ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেহেলগামের বেইসারান ঘাসবনে ভয়াবহ হামলার পর পুরো কাশ্মীর উপত্যকায় উচ্চ সতর্কতা জারি রয়েছে। কুলগামে চলমান এই এনকাউন্টার সেই সতর্কতারই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।
সেনা, সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ যৌথভাবে এই অভিযান চালাচ্ছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, এবং পুরো এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ ঘটনার পর কাশ্মীর সফর করেছেন। তিনি এলজিও মনোজ সিনহা এবং মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। এছাড়া নিজের সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি হামলার তীব্র নিন্দা করে বলেন, এই নৃশংস হামলার পেছনে যারা রয়েছে, তারা শাস্তি পাবে। তাদের ষড়যন্ত্র সফল হবে না। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই আরও দৃঢ় হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বলেন, ভারত সন্ত্রাসের সামনে কখনো মাথা নত করবে না। এই কাপুরুষোচিত হামলার জন্য দায়ীদের ছাড় দেওয়া হবে না।
মন্তব্য করুন