ভারতের জম্মু কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২৬ পর্যটক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অঞ্চলের অর্থনীতি নিয়ে নতুন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে এ হামলায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পর্যটন অর্থনীতি।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাশ্মীরের পেহেলগামে মঙ্গলবারের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা এমন এক সময়ে ঘটল, যখন উপত্যকায় পর্যটনের শীর্ষ মৌসুম শুরু হতে চলেছে। ফলে এই হামলার প্রভাব কাশ্মীরের পর্যটন নির্ভর অর্থনীতির ওপর মারাত্মক হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মুম্বাইভিত্তিক পর্যটন সংস্থা ‘অভিষেক হলিডেজের’ কর্ণধার অভিষেক সংসারে বিবিসিকে জানান, শ্রীনগরে অবস্থানরত অনেক পর্যটকের মধ্যে ‘চরম আতঙ্ক’ বিরাজ করছে। অন্যদিকে, যারা ভবিষ্যতে কাশ্মীর ভ্রমণের পরিকল্পনা করেছিলেন, তাদের মধ্যে ‘ভয় ও ক্ষোভ’ দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা প্রচুর ট্যুর বাতিলের অনুরোধ পাচ্ছি।
বিবিসি জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে যারা দ্রুত ফিরে যেতে চাইছেন, তাদের সুবিধার্থে বেশ কয়েকটি বিমান সংস্থা শ্রীনগরগামী অতিরিক্ত ফ্লাইট চালু করেছে। ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা (আনুচ্ছেদ ৩৭০) বাতিলের পর থেকে পর্যটকদের আগমন অনেক বেড়েছে। শুধু গত বছরই ২ কোটি ত্রিশ লাখের বেশি মানুষ কাশ্মীর ভ্রমণ করেন।
গত বছর নির্বাচনের আগে রাজ্যে সফরকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষি ও পর্যটন খাতের উন্নয়নে ৬৪০০ কোটির প্রকল্পের ঘোষণা দেন। চলতি বছরের শেষ দিকে কাশ্মীর উপত্যকাকে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে যুক্ত করা একটি নতুন রেললাইন উদ্বোধন করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। এই প্রকল্পটি পর্যটনের জন্য বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলে আশা করা হচ্ছিল।
কিন্তু পেহেলগামের মতো ভয়াবহ হামলার কারণে এখন সেই আশাগুলোর উপরে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পর্যটন সংশ্লিষ্টরা গভীর উদ্বেগে রয়েছেন।
মন্তব্য করুন