কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪৮ পিএম
আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পররাষ্ট্রনীতিতে পারদর্শী হয়ে উঠছে বাংলাদেশ : ভারতীয় বিশেষজ্ঞ

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রণয় কুমার ভার্মা। পুরোনো ছবি।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রণয় কুমার ভার্মা। পুরোনো ছবি।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক বিশ্লেষক রবিন্দর সাচদেব।

তার মতে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে এবং উভয় দেশের স্বার্থেই এখন এই সম্পর্ককে আরও গভীর ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করার সময় এসেছে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাচদেব বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আবারও স্থিতিশীল হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে এবং বাংলাদেশও সম্ভবত আরও পররাষ্ট্রনৈতিকভাবে পারদর্শী হয়ে উঠছে।

তিনি ভারতের পক্ষ থেকে অনুসৃত ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতিকে এই স্থিতিশীলতার অন্যতম কারণ হিসেবে তুলে ধরেন। সাচদেবের ভাষায়, ভারত একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও অনুমানযোগ্য খেলোয়াড়। আমাদের নীতি পেন্ডুলামের মতো দোলাচলে থাকে না। এর ফলে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হয়।

বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বার্থেই ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা প্রয়োজন বলে মনে করেন এই বিশ্লেষক। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বার্থেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করা এবং ভারতের সঙ্গে অর্থনৈতিক আদান-প্রদান বাড়ানো জরুরি। ভারত এর জন্য প্রস্তুত।

দুই দেশের মধ্যে আরও বেশি আলোচনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে সাচদেব বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অনেক বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা হওয়া উচিত, যার মধ্যে অন্যতম হলো বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার মতো বিষয়।

এর আগে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার বিষয়ে ভারতের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ইতিবাচক, গঠনমূলক সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী। আমরা একটি গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের পক্ষে আছি।

প্রসঙ্গত, ৫ আগস্টে বাংলাদেশে ব্যাপক বিক্ষোভ ও রাজনৈতিক চাপের মুখে শেখ হাসিনার সরকার পদত্যাগ করে। পরবর্তী সময়ে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ক্ষুদ্রঋণ আন্দোলনের প্রবর্তক ইউনূসের ওপর এখন রয়েছে রাজনৈতিক সংস্কার এবং জাতীয় ঐক্য পুনর্গঠনের বড় দায়িত্ব।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন একটি সময়েই যখন বাংলাদেশ নিজেকে নতুন পথে চালিত করছে, তখন আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক পরিমণ্ডলেও দেশটির অবস্থান আরও সুসংহত ও পরিণত হয়ে উঠছে।

ভারতীয় বিশ্লেষকদের দৃষ্টিতে, এ এক নতুন বাংলাদেশের উত্থান- যা দক্ষিণ এশিয়ার পররাষ্ট্রনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সাতক্ষীরায় ১৩ কেজি রুপা জব্দ

পুলিশ সদস্যদের যে সুখবর দিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আল-আকসা ভাঙার ষড়যন্ত্রে প্রকাশ্যে ইসরায়েল

নিকারাগুয়ায় বিরোধীদের দমন-পীড়ন / ২৫০ জনের বেশি সরকারি কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

৬০০ কর্মী নিয়ে মহাসড়কে ডিএসসিসির পরিচ্ছন্নতা অভিযান 

রাবির ভর্তি পরীক্ষায় শিবিরের হেল্প ডেস্ক থেকে ফোন চুরির চেষ্টা

স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পণ স্বামীর

সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান শুরু করতে হবে : এ্যানি

রাবির ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে একাধিক ভুল

বিয়ের আগে ছেলে-মেয়ের ৭টি জরুরি টেস্ট

১০

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার তাগিদ

১১

পরীক্ষার হলে বসে বন্ধুকে প্রশ্ন পাঠালেন পরীক্ষার্থী

১২

কেউ ঘুষ চাইলে কী করতে হবে, জানালেন আসিফ মাহমুদ

১৩

নির্বাচন ইস্যুতে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

১৪

কুমিল্লায় গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক কারাগারে

১৫

রাজনৈতিক বিভাজন এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা : ঢাবি ভিসি 

১৬

চট্টগ্রাম কারও একার শহর নয় : মেয়র শাহাদাত

১৭

‘অজানা কারণে পাকিস্তান এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চায়নি’

১৮

প্রধান উপদেষ্টার কাছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা 

১৯

দুই আ.লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ২৫

২০
X