ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের বিক্ষোভ এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর তীব্র আপত্তির মধ্যেই ওয়াকফ ( সংশোধন) বিলে সম্মতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। শনিবার (০৫ এপ্রিল) তিনি এ বিলে সম্মতি দেন। ফলে এটি এখন আইনে পরিণত হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে সংসদের উভয় কক্ষে বিল দুটি পাস হয়। রাজ্যসভায় ১৩ ঘণ্টারও বেশি আলোচনা ও বিতর্কের পর শুক্রবার প্রথম প্রহরে ওয়াকফ সংশোধন বিলের পক্ষে ভোট দেন ১২৮ সদস্য, বিপক্ষে ছিলেন ৯৫ জন। এর আগে বৃহস্পতিবার লোকসভায় বিলটির পক্ষে ভোট পড়ে ২৮৮টি, বিপক্ষে ২৩২টি। বিরোধী দলগুলো বিলটিকে ‘মুসলিমবিরোধী’ ও ‘সংবিধানবিরোধী’ আখ্যা দিলে সরকার পক্ষ প্রতিক্রিয়ায় এটিকে সংখ্যালঘুদের জন্য ‘ঐতিহাসিক সংস্কার’ বলে দাবি করে।
ওয়াকফ সংশোধন বিলের পাশাপাশি মুসালমান ওয়াকফ (বাতিল) বিলটিও রাজ্যসভা ও লোকসভায় পাস হয়। রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর এটি আইনে পরিণত হয়েছে। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘৫ এপ্রিল ২০২৫-এ রাষ্ট্রপতির সম্মতি পাওয়ায় ওয়াকফ (সংশোধন) আইন ২০২৫ সাধারণ তথ্যের জন্য প্রকাশ করা হলো।’
ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা ও তদারকিতে সংশোধনী আনার যুক্তি দেখিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, এই সংস্কারের মাধ্যমে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষা হবে। তবে বিরোধীরা অভিযোগ তোলে, বিলটি ওয়াকফ বোর্ডের স্বায়ত্তশাসন ক্ষুণ্ন করে মুসলিম সমাজের ধর্মীয়-সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করবে। বিশ্লেষকদের মতে, এই আইনের মাধ্যমে কেন্দ্রের ওয়াকফ বিষয়ক নিয়ন্ত্রণ বাড়তে পারে, যা রাজ্য সরকারগুলোর এখতিয়ারে প্রভাব ফেলতে পারে।
মন্তব্য করুন