মাত্র কয়েক দিন আগেই ভারতের ওড়িশায় স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা হয়েছে। সেই শোকের ক্ষত সারিয়ে না উঠতেই দেশটিতে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে।
গত ২ জুন সন্ধ্যায় ওড়িশার বালাশোরে তিন ট্রেনের সংঘর্ষে ২৭৮ জন নিহত ও ১ হাজার ১০০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এ ঘটনার ৫ দিনের মধ্যে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় আরও তিনটি ট্রেন দুর্ঘটনা হয়েছে। তবে এসব ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার ঝাড়খন্ডের বোকারোতে রেলক্রসিংয়ের গেটে ধাক্কা দেয় একটি ট্রাক্টর। এতে রেললাইন ও গেটের মাঝে আটকা পড়ে ট্রাক্টরটি। এ সময় ওই লাইন দিয়ে দিল্লি থেকে ভুবনেশ্বরগামী রাজধানী এক্সপ্রেস যাচ্ছিল। তবে ট্রেনচালক তাৎক্ষণিক ব্রেক দিলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় যাত্রীবাহী ট্রেনটি। দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের আদ্রা ডিভিশনের ডিআরএম মনীশ কুমার জানান, এ ঘটনার ৪৫ মিনিট পর ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ট্রাক্টরটি জব্দ করা হয়েছে এবং থানায় এফআইআর করা হয়েছে। এ ছাড়া রেলের গেটম্যানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে ট্রাক্টরচালক পালিয়ে গেছেন।
একই দিন রাতে মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় এলপিজি বহনকারী আরেকটি ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। মঙ্গলবার জেলার শাহপুরা ভিটনি স্টেশনে ভারত পেট্রোলিয়াম ডিপোর কাছে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেলের কর্মকর্তারা উদ্ধারকারী ট্রেন নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে। এ ঘটনার আগের দিন ৫ জুন ওড়িশার বারগড় জেলার সম্বরধারায় মালবাহী ট্রেনের বেশ কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। বারগড়ের এসিসি সিমেন্ট প্লান্টের ভেতরে একটি বেসরকরি রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে।
সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানিয়েছে, ট্রেনটি চুনাপাথর নিয়ে ডুঙ্গুরি থেকে বারগড় যাচ্ছিল। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন