কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৫, ০৮:২৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আবারও উত্তপ্ত মণিপুর, কী হলো?

মণিপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। ফাইল ছবি
মণিপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। ফাইল ছবি

ভারতের সেভেন সিস্টার্সের রাজ্য মণিপুর ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। শুক্রবার মেইতেইদের পবিত্র স্থান ‘কংবা মারু’তে গিয়েছিলেন একদল ভক্ত। এ সময় তাদের ওপর গুলি চালায় কুকি জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরা। এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ জানায়। বেশ কিছুক্ষণ তারা সড়ক অবরোধ করে রাখে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর সুরক্ষায় মেইতেইদের পবিত্র স্থানে গিয়েছিলেন একদল ভক্ত। তখন নিকটবর্তী পাহাড় থেকে তাদের লক্ষ্য করে মোট সাত রাউন্ড গুলি চালানো হয়। এরপর থেকে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রায় ২ বছর ধরে মণিপুর রাজ্যে চলমান বিক্ষোভ-সহিংসতার মধ্যেই গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যটিতে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি হয়। এরপর ২০ ফেব্রুয়ারি মণিপুরের গভর্নর অজয় কুমার ভাল্লা বিদ্রোহীদের অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানান। এতে সাড়া দিয়ে অস্ত্র সমর্পণ করতে শুরু করে মেইতেই সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে তারা অন্তত ২৪৬টি অস্ত্র জমা দেয়।

তবে সশস্ত্র মেইতেই গোষ্ঠী অস্ত্র সমর্পণ করলেও কোনো অস্ত্র জমা দেয়নি আরেক সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরা। ফলে অস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় নির্ধারিত থাকলেও তা বাড়িয়ে ৬ মার্চ বিকেল ৪টা পর্যন্ত করা হয়। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই আবারও গুলির ঘটনা ঘটল।

এদিকে গুলির ঘটনার পর আশপাশের গ্রাম থেকে বাসিন্দারা রাস্তায় বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ জানান। বেশ কিছুক্ষণ তারা সড়ক অবরোধ করেন। শান্তি ফিরিয়ে আনতে এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাহাড়ে থাকা বাঙ্কারগুলো ভেঙে দেওয়ার দাবি জানান তারা।

উল্লেখ্য, মণিপুরে গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা জাতিগত সংঘাতে আড়াই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে এবং বাড়িঘর ছেড়ে বাস্তুচ্যুত হতে বাধ্য হয়েছেন আরও কয়েক হাজার বাসিন্দা। এখনো রাজ্যের পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। সংঘাত শুরুর সময় মণিপুরের রাজ্য সরকারে বিজেপি ক্ষমতাসীন ছিল। গত ৯ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং।

বিদ্রোহীদের অস্ত্র ত্যাগের আহ্বান জানিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি গভর্নরের কার্যালয় এক বিবৃতি দেয়। সেখানে বলা হয়, যারা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে অস্ত্র জমা দেবেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না সরকার; আর যারা অস্ত্র সমর্পণ থেকে বিরত থাকবেন, সময়সীমা শেষ হওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান শুরু হবে।

রাজ্যের মুখ্য সচিব পিকে সিং এক বিবৃতিতে জানান, যেসব বিদ্রোহী যোদ্ধা সশস্ত্র রাজনীতি ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান, তাদের জন্য সরকারের এ প্রস্তাব একটি ‘সুবর্ণ সুযোগ’। তিনি বলেন, মণিপুরের সাধারণ জনতা গভর্নরের এ অস্ত্র সমর্পণের আহ্বানকে দ্ব্যর্থহীনভাবে সমর্থন করছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তারেক রহমানের বাণী / ‘হিংসা বিদ্বেষ হানাহানি পরিহার করে সমাজে শান্তি বজায় রাখা মুসলমানের কর্তব্য’

সপ্তম ওয়ালটন কাপ গলফ টুর্নামেন্ট সমাপ্ত

বিএনপি নেতার সহযোগিতায় ভারতে পালালেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা

ভারতের সিদ্ধান্তে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বিভ্রান্তি, বিপাকে দুই সেমিফাইনালিস্ট

‘রমজানে দ্রব্যমূল্য মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে পদক্ষেপ নিন’

রাতে স্বামীর জন্মদিন উদ্‌যাপন, সকালে পদ্মায় মিলল গৃহবধূর লাশ

জাতীয় পার্টির (জাফর) সভা / ১২ দলীয় জোটের দু-একটি দলের কর্মকাণ্ড নিয়ে অসন্তোষ

রমজানে জবির মসজিদে আয়োজন হবে ইফতার

রাজশাহীতে ২৪ ঘণ্টায় আটজনের বিষপান, ২ জনের মৃত্যু

পারমাণু যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে উত্তর কোরিয়া!

১০

ইংল্যান্ডকে বিধ্বস্ত করেই সেমিতে প্রোটিয়ারা

১১

‘সীমান্তের কাছে আইএসআই জড়ো হওয়ার খবর খাঁটি কল্পকাহিনি’

১২

সিরিয়াকে দুর্বল করতে নতুন পরিকল্পনা ইসরায়েলের

১৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকের ওপর হামলা করে বিএনপির উল্টো বিবৃতি

১৪

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পুরোপুরি সুরক্ষিত আছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৫

রমজান নিয়ে আহমাদুল্লাহর স্ট্যাটাস

১৬

ভারত সীমান্ত আইন না মানলে বিজিবি আরও কঠোর হবে : বিজিবি মহাপরিচালক

১৭

ইনকিলাব মঞ্চের গণইফতার কর্মসূচি ঘোষণা

১৮

গাজায় সেহরি ও ইফতার : ক্ষুধা ও কষ্টে রমজান শুরু

১৯

কুয়েটের ভিসিসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচার দাবি আইইবির

২০
X