পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে বাড়িতে আনেন প্রেমিকাকে। কাটাচ্ছিলেন একান্ত সময়। তবে সে সময়েই বাড়িতে ফেরেন স্ত্রী এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা। ফলে প্রেমিকাসহ ধরা পড়ে যান তিনি এবং স্ত্রীর কাছে খেলেন বেদম পিটুনি। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হায়দরাবাদে।
সম্প্রতি এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, পরিবারের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ার পর স্ত্রী এবং অন্য সদস্যদের কাছে মার খাচ্ছেন তিনি। সঙ্গে তার প্রেমিকাকেও মারধর করা হচ্ছে।
ঘটনার কেন্দ্রে থাকা ওই ব্যক্তির নাম জানকিরাম। পেশায় তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা। গ্রেটার হায়দরাবাদ মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের যুগ্ম কমিশনার হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। বাড়িতে প্রেমিকাকে নিয়ে ধরা পড়ার পর খবরের শিরোনামও হয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের।
বিগ টিভি নামে স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে বাড়িতে প্রেমিকাকে এনেছিলেন জানকিরাম। কিন্তু সেই সময়ই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন তার স্ত্রী কল্যাণী এবং পরিবারের বাকি সদস্যরা। সবার চোখ থেকে লুকাতে প্রেমিকাকে শৌচাগারে লুকিয়ে রাখেন ওই ব্যক্তি। তবে তাতে কোনো লাভ হয়নি।
হাতেনাতে ধরা পড়েন জানকিরাম। এর পরই জানকিরাম এবং তার প্রেমিকাকে মারধর করেন কল্যাণী এবং পরিবারের সদস্যরা। পুরো ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দিও করা হয়। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। আলোচনা শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
শুক্রবার ‘ঘর কে কলেশ’ নামে এক্স হ্যান্ডল থেকে ভাইরাল ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই বহু মানুষ সেই ভিডিও দেখেছেন। ভিডিও দেখে নেটিজেনরা অনেকে মজার সব মন্তব্য করলেও অনেকে সরকারি কর্মকর্তার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। একজন লিখেছেন, ‘বুড়ো বয়সে ভীমরতি। এসব মানুষের লজ্জা হওয়া উচিত।’
এদিকে জানকিরামের স্ত্রীর অভিযোগ, একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তার স্বামী। ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতে তদন্তে নেমেছে ওয়ারাসিগুডা থানার পুলিশ।
মন্তব্য করুন