ভারতের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য ২ কোটি ১০ লাখ ডলার বরাদ্দ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এমন তথ্য জানিয়ে এ অর্থ ঢালার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফ্লোরিডার মায়ামিতে এক সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প এ প্রশ্ন তুলেন।
এ সময় তিনি এটিকে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনকালীন ইন্টারনেট বিজ্ঞাপনে রাশিয়ার ব্যয় করা ২ হাজার ডলার খরচের সাথে তুলনা করেন। সে হিসাবে ২ কোটি ১০ লাখ ডলার ব্যয়ের পেছনে বড় ধরনের কর্মসূচি থাকার সন্দেহ প্রকাশ করেন ট্রাম্প। ওই অর্থ জো বাইডেন প্রশাসন বরাদ্দ দিয়েছিল। খবর এনডিটিভি ও সিএনবিসি টিভি১৮-এর।
ট্রাম্প বলেন,
ভারতে ভোটার উপস্থিতিতে ২১ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। সেখানে ভোটার উপস্থিতির জন্য আমাদের কেন ২১ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে হবে? আমার মনে হয় তারা অন্য কাউকে নির্বাচিত করার চেষ্টা করছিল।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ভারত সরকারকে বলতে হবে... কারণ যখন আমরা শুনি যে রাশিয়া আমাদের দেশে প্রায় দুই হাজার ডলার খরচ করেছে, তখন এটি একটি বড় ব্যাপার ছিল। তারা দুই হাজার ডলারের বিনিময়ে কিছু ইন্টারনেট বিজ্ঞাপন দিয়েছে।
তিনি আরও যুক্তি দেন, ভারতের শক্তিশালী অর্থনীতি এবং মার্কিন পণ্যের উপর উচ্চ শুল্কের কারণে তাদের এত আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন নেই। তারা প্রচুর অর্থ পেয়েছে। তারা আমাদের দিক থেকে বিশ্বের সর্বোচ্চ কর আদায়কারী দেশগুলোর মধ্যে একটি। আমরা সেখানে খুব কমই যেতে পারি (পণ্য রপ্তানি) কারণ তাদের শুল্ক এত বেশি।
ট্রাম্প ভারত এবং তার প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন। সে সঙ্গে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, কেন আমেরিকাকে একটি বিদেশি দেশে ভোটারদের ভোটদানের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে।
ভারতে মার্কিন অর্থ খরচের তথ্য প্রাপ্তির পর ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) কোটি ডলারের অনুদান নিয়ে বিরোধী দল কংগ্রেসের দিকে আঙুল তুুলেছেন। দলের নেতা অমিত মালব্য বলেছে, এটি ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অবশ্যই বহিরাগত হস্তক্ষেপ। এতে কে লাভবান হবে? ক্ষমতাসীন দল (বিজেপি) নিশ্চিতভাবে নয়! তিনি এই ঘটনাকে বিদেশি সংস্থার দ্বারা ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিকল্পিত অনুপ্রবেশের সাথে তুলনা করেন।
মন্তব্য করুন