চুরি করে বিজেপি দিল্লির ভোটে জিতেছে, এই অভিযোগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা এই চুরিটা ধরে ফেলেছি।’ পশ্চিমবঙ্গে এ ধরনের ভোটচুরি হতে দেবেন না বলেও হুঁশিয়ারি করেন মমতা।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরে নীরব থাকলেও বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মমতা এ নিয়ে কথা বলেন। ভোট চুরির জন্য তিনি বিজেপি, নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে অভিযুক্ত করেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভোটার তালিকা নিয়ে দিল্লিতে কী করেছেন? অঙ্ক কষেছেন। অনলাইন ব্যবস্থায় ভোটার তালিকা নাম তোলা এবং বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়ায় চুরি করা হয়েছে। প্রকৃত ভোটারের নাম বাদ দিয়ে বাইরে থেকে ভোটারের নাম তুলেছে বিজেপি। মহারাষ্ট্রে বিজেপির ৪০ লাখ ভোট বাড়ল কী করে, তা আমরা অঙ্ক কষে দেখে নিয়েছি। কমিশন এবং ইডি, সিবিআইয়ের সাহায্য নিয়েছে ভুতুড়ে দল (বিজেপি)। অনলাইনের নাম করে কেন ভুতুড়ে ভোটারের নাম তোলা হবে?
আগামী ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে সেই চেষ্টা এ রাজ্যেও শুরু হয়েছে বলে দাবি করে মমতা বলেন, এখানেও (পশ্চিমবঙ্গে) বিধানসভা কেন্দ্রে এসে বসে আছেন। সব হিসেব করে ২০- ৩০ হাজার লোক ঢোকাবেন। তার পর কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে কমিশন ভোট করাবে। বাইরে থেকে লোক এনে ভোট করাবে। এখানে তা হবে না। আমরা তা করতে দেব না। অন্যরা যা পারে না, পশ্চিমবঙ্গ তা পারে।
প্রসঙ্গত, ভারতের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। এর মধ্য দিয়ে ২৭ বছর পর দিল্লিতে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল।
৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ভোট হয়। ভারতের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তথ্য অনুযায়ী, ৭০ আসনের বিধানসভায় ৪৮টি আসনে জয়ী হয়েছে। অন্যদিকে দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি (এএপি) জয় পেয়েছে ২২টি আসনে।
নির্বাচনে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লিখেছেন, ‘জনতার রায়ই শেষ কথা। উন্নয়নের জয় হয়েছে, সুশাসন বিজয়ী হয়েছে।’ দিল্লিবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মোদি আরও লিখেছেন, ‘বিজেপি সমর্থন দেওয়ায় সব ভোটার ভাইবোনকে আমি প্রণাম জানাই।’
মন্তব্য করুন