ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। ভোটের ফলাফলে বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। মোট ৭০টি আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনে জয় নিশ্চিত করেছে দলটি। এর মধ্য দিয়ে দুই দশকেরও বেশি সময় পর দিল্লির মসনদ হলো বিজেপির।
নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, বিধানসভার ৭০টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ৪৮টি। আর ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি (আপ) পেয়েছে ২২টি আসন। ভোটের হার বাড়লেও কোনো আসন জিততে পারেনি ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস।
কেন্দ্রে বিজেপি সরকার গড়লেও খোদ দিল্লির বুকে গত ১১ বছর বিরোধীদের রাজত্ব থেকে গিয়েছিল। গত পরপর দুটি নির্বাচনে জিতেছিল আম আদমি পার্টি (আপ)। আপের আগে বিধানসভা ছিল কংগ্রেসের হাতে। প্রায় তিন দশক পর দিল্লিতে ফুটল পদ্ম। এবার বিজেপি ৪৬ ও আপ ৪৪ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পেয়েছে। আর কংগ্রেসের প্রাপ্তি ৭ শতাংশের মতো ভোট।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম গুলোর খবর অনুযায়ী, এবারে রাজধানীর বিধানসভা নির্বাচনে মূল লড়াইটা ছিল ক্ষমতায় থাকা আম আদমি পার্টি (আপ) ও বিজেপির মধ্যে। তৃতীয় শক্তি হিসেবে ছিল কংগ্রেস। এই ত্রিমুখী লড়াইয়ে বিপুল জয় পেয়েছে বিজেপি। দিল্লিতে আগের দুটি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন ছিল এক অঙ্কের ঘরে। অন্যদিকে গত ১০ বছর টানা দিল্লির ক্ষমতায় থেকেছে আপ।
দিল্লিতে বিজেপির বিশাল জয়ে উল্লাস প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি এই জয়কে ‘উন্নয়ন এবং সুশাসনের জয়’ বলে অভিহিত করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তিনি বলেন, বিজেপির ঐতিহাসিক বিজয়ে সকল ভাইবোনদের আমার স্যালুট এবং অভিনন্দন... আমি আমার হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে আপনাদের সবার প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ...।
তিনি বলেন, আমি বিজেপির সকল কর্মীকে নিয়ে গর্বিত। আমরা নিশ্চয়তা দিচ্ছি, দিল্লির সর্বাত্মক উন্নয়ন ও জনগণের জীবনকে আরও উন্নত করার কোনো প্রচেষ্টাই বাদ রাখব না। আমরা এখন দিল্লির জনগণের সেবা করার জন্য নিজেদের আরও দৃঢ়ভাবে উৎসর্গ করব।
দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল ক্ষমতাসীন দল আম আদমি পার্টি (আপ)। তবে পরাজয় মেনে নিয়ে বিজেপিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। একইসঙ্গে বিজয়ী দল জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
এক ভিডিও বার্তায় কেজরিওয়াল বলেছেন, আমরা অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে জনগণের রায় মেনে নিলাম। গত ১০ বছরে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অবকাঠামো খাতে আমরা অনেক কাজ করেছি। আমরা শুধু একটি গঠনমূলক বিরোধী দল হিসেবেই ভূমিকা পালন করব না, বরং মানুষের মধ্যে থাকব এবং তাদের সেবা করে যাব।
মন্তব্য করুন