ভারতে কুম্ভমেলায় ফের অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার মহাকুম্ভ নগর অঞ্চলের ১৮ নম্বর সেক্টরে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে মেলা প্রাঙ্গণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
প্রয়াগরাজের পুলিশ কর্মকর্তা সর্বেশ কুমার মিশ্র জানান, এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সকালে সেক্টর ১৮-তে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ক্যাম্পের পরিদর্শক যোগেশ চতুর্বেদী বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে যোগ দিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট। এ সময় আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন পুণ্যার্থীরা। আশপাশের আখড়া থেকে সবাই বেরিয়ে আসেন।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের কারণ নিয়ে পুলিশ বা মেলা কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক কিছু জানাতে পারেনি।
এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, ভারতে মহাকুম্ভ মেলায় মৌনী অমাবস্যায় ‘পবিত্র স্নান’ করতে গিয়ে পদদলিত হয়ে অন্তত ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতী নদীর মিলনস্থলে পুণ্যস্নান করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এদের মধ্যে ১২ ঘণ্টার মধ্যে ৪০ জনকে মর্গে নেওয়া হয়। আহত অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় সময় রাত ১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এর কারণ স্পষ্ট নয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেখান থেকে বের হওয়ার চেষ্টাকালে ভক্তরা একটি বহির্গমনস্থলে আবারও পদদলিত হয়ে পড়েন। এরপর তারা বিকল্প পথ খুঁজতে গিয়ে পন্টুন সেতুর দিকে ফিরে এসে দেখেন যে কর্তৃপক্ষ এটি বন্ধ করে দিয়েছে।
ওই সময় কর্মকর্তারা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য একটি র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের (র্যাফ) একটি বিশেষ ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে। তারা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, এ ঘটনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন