গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। এরমধ্যে বাংলাদেশ সরকার সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধসহ একাধিক অভিযোগ এনেছে। একইসঙ্গে তাকে ফেরত দেওয়ার জন্য নয়াদিল্লির কাছে অনুরোধ জানিয়েছে।
তবে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর অনুরোধে ভারত এখনো সাড়া দেয়নি। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দেশটির সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে প্রশ্ন করেন এক সংসদ সদস্য। সেখানেও এই একই ধরনের বক্তব্য উঠে এসেছে।
রাজ্যসভার সদস্য ডা. জন বৃত্তাস সংসদে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, বাংলাদেশ শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়েছে কি না, এর কারণ কী এবং ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়া কী ছিল? জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেছেন, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে বাংলাদেশের অনুরোধের জবাব দেয়নি ভারত।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ভারতে আসার আগে করা অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়েছে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের এই প্রত্যর্পণের জবাব ভারতের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি।
গত বছরের ডিসেম্বরে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ভারত সরকারের প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘আমরা আমাদের অবস্থান সম্পর্কে ভারতকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছি। আমরা বলেছি, আমরা তাকে (শেখ হাসিনা) বিচারিক প্রক্রিয়ার জন্য ফেরত চাই।’
বুধবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, অন্তর্বর্তী সরকার প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনা ও অন্যদের ভারত থেকে ফিরিয়ে আনতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচারাধীন ব্যক্তিদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।
মন্তব্য করুন