কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৪৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

দিল্লি জয়ের লড়াইয়ে বিজেপি-আম আদমি পার্টি, চলছে ভোট

ভোট দিয়ে আঙুলের অমোচনীয় কালি দেখাচ্ছেন ভোটাররা। ছবি : সংগৃহীত
ভোট দিয়ে আঙুলের অমোচনীয় কালি দেখাচ্ছেন ভোটাররা। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। ৭০ আসনবিশিষ্ট বিধানসভার ভোট একই দিনে হচ্ছে। খবর এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস ও আনন্দবাজারের।

ভোটাররা সকাল থেকে কেন্দ্রগুলোতে ভোট দিচ্ছেন। এ সময় তাদের উচ্ছ্বসিত দেখা গেছে। অনেকে ভোট দিয়ে গণমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে আঙুলের অমোচনীয় কালি দেখিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। এখন পর্যন্ত বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

নির্বাচন কমিশন সকাল ৯টা পর্যন্ত ভোট পড়ার হার জানিয়েছে। তাতে দেখা যায়, দিল্লিতে তখন পর্যন্ত ভোটদানের হার ৮.১ শতাংশ। কমিশন আশা করছে, বেলা বাড়ার সঙ্গে ভোটার উপস্থিতিও বাড়বে।

এদিকে দিল্লির শীর্ষস্থানীয় নেতারা একে একে ভোট দিচ্ছেন। সকালে ভোট দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ভোট দেন কংগ্রেস নেতা ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। এ সময় তিনি দিল্লিবাসীকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার আহ্বান জানান। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আতিশী মার্লেনাও ইতিমধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

দিল্লির বিধানসভায় একাধিক দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও আলোচনায় তিন দল। মূলত প্রতিটি আসনে মুখোমুখি লড়ছে আম আদমি পার্টি (আপ), ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন এনডিএ এবং কংগ্রেস। তবে ভোটের মাঠে আম আদমি পার্টি ও বিজেপির মধ্যেই মূল লড়াই হচ্ছে।

এক বিশ্লেষণ বলছে, এবারও একক বৃহত্তম দল হিসেবে আপ আবির্ভূত হতে পারে। তার পরে বিজেপি এবং কংগ্রেস ভোট পাবে। এ পূর্বাভাস ভুল প্রমাণে কংগ্রেস এবং বিজেপি উভয়ই নির্বাচনে জয়ের জন্য আরও দৃঢ় সংকল্প দেখাচ্ছে। বিজেপি প্রমাণ করার চেষ্টা করছে যে, সংসদ নির্বাচনে যারা দলকে ভোট দিয়েছে তারা বিধানসভার নির্বাচনেও তাদের পাশে থাকবে।

এ ছাড়া দুর্নীতির দায়ে আম আদমি পার্টি নাস্তানাবুদ। এ সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। কারণ, দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের ঢেউয়ে ভেসে রাজনৈতিক দল গঠন করে দিল্লি দখল করা কেজরিওয়ালই দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত। আবগারি (মদ) মামলায় সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গ্রেপ্তার হয়ে কারাবাস ভোগ করেন। তার দলের অনেকের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এসব কারণে ভোটাররা আম আদমি থেকে মুখ ফেরালে পোয়াভারো হবে বিজেপির।

অপরদিকে কংগ্রেস মুসলিম ও দলিতদের টার্গেট করছে। সংসদ নির্বাচনেও দলটি তাদের সমর্থন পেয়েছিল। কংগ্রেস চাইছে, সেই সমর্থন কাজে লাগিয়ে দিল্লিতে তাদের ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করা। যদিও এটি অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে। কারণ, কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি দৃশ্যত পক্ষপাতদুষ্ট না হওয়ার কারণে সংখ্যালঘু এবং অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ও শ্রমিক শ্রেণির কাছে জনপ্রিয় আম আদমি পার্টি। এ ছাড়া কেজরিওয়াল তার স্থায়ী ভোট ব্যাংকের ওপর আস্থা রাখছেন।

গত বিধানসভা ভোটের ফলও আপের পাল্লা ভারী করে। ওই বার ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছিল আপ। মাত্র ৮টি আসনে জয়ী হয় বিজেপি। কংগ্রেস কোনো বিজয় পায়নি। আপ ৫১ শতাংশ, বিজেপি ৩৯ শতাংশ এবং কংগ্রেস পায় প্রায় সোয়া চার শতাংশ ভোট।

অবশ্য এবার দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তারের পর কেজরিওয়ালের দল নাস্তানাবুদ। এ সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় খালাস পেলেন যারা

নতুন রাজনৈতিক দলের জন্য নাম ও প্রতীক চাইলেন শিক্ষার্থীরা

আহতদের জন্য আসা বিদেশি চিকিৎসকদের সুখবর দিল এনবিআর 

ট্রাম্প প্রশাসনের বিশ্বব্যাপী সহায়তা স্থগিত : বাংলাদেশের জন্য সুযোগ

উত্তরার ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার 

‘হাসিনা সরকার তরুণ সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে’ 

ঢাবির থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স বিভাগে ভর্তির সুযোগ

চীন সফরের আগে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মঈন খানের বৈঠক 

সর্ষের মধ্যে ভূত রেখে প্রধান উপদেষ্টা সফল হবেন না : সালাহউদ্দিন আহমেদ

‘জনগণকে জিম্মি করে লুটপাটের স্বর্গরাজ্য তৈরি করে আ.লীগ’

১০

আরও তিন মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক মন্ত্রী ইমরান

১১

মাত্র ৪টি নতুন বই নিয়ে বইমেলায় অংশ নিচ্ছে জবি

১২

হাসপাতালে ভর্তি কারাবন্দি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ

১৩

ই-ক্লাবের নতুন সভাপতি অন্তু করিম, সম্পাদক জিসান

১৪

প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিলেন দুই সংস্কার কমিশন

১৫

আনিসুল হক আরও ৩ দিনের রিমান্ডে 

১৬

কেমন রাজনৈতিক দল চায় জনগণ, জানতে চেয়েছেন হাসনাত 

১৭

গোপালগঞ্জে কবরস্থান থেকে ৩টি কঙ্কাল চুরি

১৮

শান্তি ও কল্যাণ কামনায় শেষ হলো ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপ

১৯

‘হাসিনার দাম্ভিকতাই তার পতনের কারণ’

২০
X