বিয়ের আয়োজন করেছিল পরিবার। কিন্তু শেষপর্যায়ে দেখা দেয় গোলোযোগ। বাধ সাধে বিয়েতে। পরে থানায় বিয়ে সারেন বর-কনে। পুলিশের হস্তক্ষেপে সর্বনাশ থেকে রক্ষা পান তরুণী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদেনে বলা হয়েছে, থানায় এমন বিয়ের কাণ্ডে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে। রোববার গুজরাটের সুরাটে এমন ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণীর নাম অঞ্জলি কুমারী। রাহুল প্রমোদ মাহতো নামে বিহারের এক বাসিন্দার সঙ্গে তার বিয়ের কথা ছিল। গত সপ্তাহে সুরাটের বারাচা এলাকায় লক্ষ্মীহলে তাদের বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। তবে সেখানে আয়োজন সম্পূর্ণ হয়নি। পরে থানায় এসে একে অন্যের গলায় মালা পরিয়ে বিয়ের কাজ সম্পূর্ণ করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বরের পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও অতিথিদের খাবার কম পড়ার অভিযোগ এনে বিয়ের অনুষ্ঠান ছেড়ে যেতে চায় বরের পরিবার। বরের পরিবারের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে কনে ও তার পরিবার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এমনকি বিয়ে করতে রাজি ছিলেন বরও। কিন্তু পরিবার সম্মতি দিচ্ছিল না। এই অবস্থায় পুলিশ এসে রব এবং কনেকে থানায় নিয়ে যায় এবং সেখানেই মালাবদল হয়।
সুরাটের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অলোক কুমার বলেন, বিয়ের সব রীতি প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। শুধু মালাবদল বাকি ছিল। সে সময় খাবার কম পড়ার অভিযোগ আনে বরের পরিবার। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। বরের পরিবার বিয়ে না করিয়ে ফেরার সিদ্ধান্ত নেয়। এ সময় কনে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
তিনি বলেন, ওই তরুণী জানান, বর বিয়েতে রাজি হলেও তার পরিবার সম্মতি দিচ্ছে না। এরপর পুলিশ বরের পরিবারকে থানায় নিয়ে কনের পরিবারের সঙ্গে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে।
অলোক কুমার বলেন, ‘পুলিশের মীমাংসা মেনে বরের পরিবার বিয়েতে সম্মতি দেয়। তবে কনে আশঙ্কা করেন, বিয়ের হলে ফিরে গেলে আবারও কোনো ঝগড়া হতে পারে। তাই পুলিশ থানার মধ্যেই বিয়ে সম্পন্ন করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, ওই পুলিশ ওই তরুণীর ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে হস্তক্ষেপ করেছে। তাদের বিয়ে সম্পন্ন করতে সাহায্য করেছে।
মন্তব্য করুন