ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে অজানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এতে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি রোগের কারণ খুঁজতে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অজানা এ রোগের কারণে গত এক মাস ধরে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে আতঙ্ক ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। অসুস্থতার কারণ খুঁজতে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়। পরে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একটি দল এ রোগের জট খুলতে সক্ষম হয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, নিউরোটক্সিনের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং সংবাদমাধ্যমে জানান, ক্যাডমিয়াম টক্সিন থেকে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এ রোগে আক্রান্ত আরও কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি বলেন, আক্রান্ত ও মৃতদের নমুনা লখনৌতে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টক্সিকোলজি রিসার্চে পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ক্যাডমিয়ামের উপস্থিতি মিলেছে। গ্রামবাসীর শরীরে কিভাবে ক্যাডমিয়াম পৌঁছাল তা খতিয়ে দেখা হবে।
ক্যাডমিয়াম অত্যন্ত বিষাক্ত পদার্থ। মানবদেহে এটির সংক্রমণ ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দূষিত বাতাস থেকে এটি মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। এছাড়া সংক্রমিত খাবার ও পানি থেকেও এটি শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
গত সপ্তাহে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, মারা যাওয়া সবার শরীরে নিউরোটক্সিন মিলেছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজ়িস কন্ট্রোল (NCDC) এবং পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির পরীক্ষায় এর অস্তিত্ব মিলেছে। ফলে আক্রান্তদের ব্রেন হ্যামারেজ ঘটেছে।
রাজৌরির সরকারি মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডা. এএস ভাটিয়া জানান, ব্রেন হ্যামারেজে আক্রান্তদের কী ধরনের সমস্যা ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্বাস্থ অধিদপ্তর বিষয়টি মনিটরিং করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে অজানা রোগে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত ১৪ শিশু রয়েছে। এছাড়া গত দুদিনে আরও ছয় শিশু অজানা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তাদের রাজৌরির সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন