বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সৃষ্ট টানাপোড়েন শুরু ৫ আগস্টের পর থেকে। সম্প্রতি দুই দেশের সীমান্তে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলছে উত্তেজনা।
এ অবস্থার মধ্যে ১০ দিনের ‘অপস অ্যালার্ট’ মহড়া শুরু করেছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। গত বুধবার (২২ জানুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া এই মহড়া চলবে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন উপলক্ষে সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যেই এই মহড়া শুরু হয়েছে বলে দাবি ভারত সরকারের।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিএসএফের পক্ষ থেকে দেওয়া এক সরকারি বিজ্ঞপ্তির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ভারতের আসন্ন ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
২০২৫ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারত ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করবে। ১৯৫০ সালের এই দিনে ভারত সংবিধান কার্যকর করে একটি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়। প্রতি বছর এ দিনটি জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক আয়োজনে উদযাপিত হয়।
বিএসএফের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ-ভারত ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তজুড়ে বিএসএফের সব ফিল্ড ফর্মেশন ‘অপস অ্যালার্ট’ মহড়া শুরু হয়েছে। সীমান্ত নিরাপত্তা আরও জোরদার এবং সীমান্ত চৌকিগুলো আরও শক্তিশালী করতেই এই মহড়া। মহড়ার সময় সীমান্তে টহল ও অন্যান্য নিরাপত্তা কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
এ সময় বিএসএফের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পূর্বাঞ্চল) ও অন্য কর্মকর্তারা পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড এলাকার দিন-রাতের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তে বিএসএফের অপারেশনাল প্রস্তুতি ও কৌশলগত মোতায়েন তদারকি করতে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) রবি গান্ধী সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন। তিনি সব ফিল্ড ফর্মেশনকে বিশেষভাবে নদী সীমান্ত এবং যেখানে কাঁটাতারের বেড়া নেই, সেসব এলাকায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এই মহড়ার সময় সীমান্তের গভীর ও সামনের এলাকায় বিএসএফ বিভিন্ন নিরাপত্তা মহড়া পরিচালনা করবে বলে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রমের বৈধতা যাচাই এবং সীমান্ত এলাকার জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পুনর্মিলনী কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে।
মন্তব্য করুন