উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত কুম্ভমেলাথেকে রাজ্য সরকারকে ২ লাখ কোটি রুপি লাভ হতে পারে। প্রশাসনিক সূত্র অনুযায়ী, এ বছর কুম্ভমেলায় আনুমানিক ৪৫ কোটি মানুষের সমাগম হবে। এ বিপুল জমায়েত থেকে উত্তরপ্রদেশ সরকার ২ থেকে ৪ লাখ কোটি রুপি লাভ করতে পারে। খবর দ্য ওয়াল।
কুম্ভমেলার আয়োজনে ৪ হাজার হেক্টর জমির ব্যবহার হয়েছে। আজ (১৩ জানুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠান চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। গঙ্গা, যমুনা ও পৌরাণিক সরস্বতী নদীর মিলনস্থল- ত্রিবেণী সঙ্গমে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পবিত্র স্নান করতে আসবেন। তারা বিশ্বাস করেন, এতে পাপমুক্তি ও জন্ম-মৃত্যু চক্র থেকে মুক্তি দেবে।
মহাকুম্ভমেলার ইতিহাস অনেক পুরোনো। হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, দেবতা বিষ্ণু অসুরদের সঙ্গে যুদ্ধ করে অমৃত ভর্তি কলস উদ্ধার করেছিলেন। সেই অমৃতের চার ফোঁটা পৃথিবীতে পড়েছিল এবং সেই স্থানগুলোতে এখন কুম্ভমেলার আয়োজন করা হয়। প্রতি ১২ বছর পরপর এ মেলা ‘মহা’ কুম্ভ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়।
৪৫ দিনের এই মেলার জন্য রাজ্য সরকার ৭ হাজার কোটি রুপি বাজেট বরাদ্দ করেছে। তবে লাভের পরিমাণ অনেক বেশি হতে পারে। যদি ৪০ কোটি মানুষ মাথাপিছু ৫ হাজার রুপি খরচ করেন, তাহলে রাজ্য সরকারের লাভ ২ লাখ কোটি রুপি হতে পারে। আর মাথাপিছু খরচ ১০ হাজার রুপি হলে লাভ বেড়ে ৪ লাখ কোটি রুপি হতে পারে। এভাবে কুম্ভমেলা ভারতের জিডিপিতে ১ শতাংশেরও বেশি মানুষের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
২০১৯ সালে উত্তরপ্রদেশের ‘অর্ধ কুম্ভমেলা’ থেকে রাজ্য ১ লাখ ২০ হাজার কোটি রুপি লাভ করেছিল। ব্যবসায়ী মহলের মতে, শুধু পানি, বিস্কুট, জুস বিক্রির মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি রুপি লাভ হতে পারে।
মন্তব্য করুন