মহারাষ্ট্রের নান্দেদ জেলায় বাবা-ছেলের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। বাবার কাছে ছেলের স্মার্টফোন দাবি ও বাবার আর্থিক অক্ষমতার কারণে এ ঘটনা ঘটে।
আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে বাবা ছেলেকে স্মার্টফোন কিনতে অস্বীকৃতি জানানোর পর ১৬ বছর বয়সী দশম শ্রেণির ওই ছাত্র আত্মহত্যা করে।বাবা এই ঘটনা সহ্য করতে না পেরে একই গাছে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন অনুসারে, কিশোরটি লাতুর জেলার উদগিরে তার দুই ভাইয়ের সাথে একটি হোস্টেলে থাকত। ছেলেটি প্রায়ই তার বাবার কাছে পড়াশোনার জন্য স্মার্টফোন চাইত। কিন্তু খামার ও একটি গাড়ির ঋণের আর্থিক বোঝার কারণে তার বাবা আবদারটি পূরণ করতে পারেননি।
ছেলেটি আত্মহত্যার আগে সন্ধ্যায় আবার ফোনটি চেয়েছিল। কিন্তু তার বাবা সাফ জানিয়ে দেন, তিনি তা কিনে দিতে পারবে না। ছেলেটি বিরক্ত হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তার বাবা-মা ভেবেছিলেন যে সে খামারে গেছে ঘুমাতে। পরের দিন সকালে সে ফিরে না এলে তারা তাকে খুঁজতে শুরু করে।
তার বাবাই প্রথমে খামারে পৌঁছান। সেখানে গিয়ে তার ছেলেকের নিথর দেহ গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। হতবাক হয়ে তিনি মৃতদেহটি সরিয়ে একই দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা খামারে পৌঁছালে আত্মহত্যার বিষয়টি জানা যায়। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে দুজনকেই মৃত ঘোষণা করা হয়।
এদিকে পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন