ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় মিলনমেলা, মহাকুম্ভমেলা। এই মেলা আগামীকাল থেকে ছয় সপ্তাহ ধরে চলবে। এতে ৪০ কোটি মানুষ উপস্থিত হবে- এ আশা করা হচ্ছে। গঙ্গা, যমুনা ও পৌরাণিক সরস্বতী নদীর মিলনস্থল- ত্রিবেণী সঙ্গমে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পবিত্র স্নান করতে আসবেন। তারা বিশ্বাস করেন, এতে পাপমুক্তি ও জন্ম-মৃত্যু চক্র থেকে মুক্তি দেবে।
মহাকুম্ভমেলার ইতিহাস অনেক পুরোনো। হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, দেবতা বিষ্ণু অসুরদের সঙ্গে যুদ্ধ করে অমৃত ভর্তি কলস উদ্ধার করেছিলেন। সেই অমৃতের চার ফোঁটা পৃথিবীতে পড়েছিল এবং সেই স্থানগুলোতে এখন কুম্ভমেলার আয়োজন করা হয়। প্রতি ১২ বছর পরপর এ মেলা ‘মহা’ কুম্ভ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সবচেয়ে বেশি লোকসমাগম ঘটে।
প্রয়াগরাজে শুরু হতে যাওয়া এই মেলা ভারতের সক্ষমতা প্রদর্শনের পরীক্ষা। বিশেষ করে মেলা চলাকালীন লাখ লাখ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এটি শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও বটে।
এবারের মেলার জন্য ৬৪ বিলিয়ন রুপি (৭৬৫ মিলিয়ন ডলার) বরাদ্দ করেছে উত্তর প্রদেশ সরকার। মেলা উপলক্ষে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে অস্থায়ী শহর তৈরি করা হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে এক লাখ ৫০ হাজার তাঁবু, এক লাখ ৪৫ হাজার বিশ্রামাগার, তিন হাজার রান্নাঘর ও ৯৯টি গাড়ির রাখার স্থান। এর পাশাপাশি চার লাখ ৫০ হাজার নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।
মেলাচলাকালে ৪০ হাজার পুলিশ সদস্য ও সাইবার অপরাধ বিশেষজ্ঞরা কাজ করবেন। অতিরিক্ত ৯৮টি বিশেষ ট্রেন চলবে। এমার্জেন্সি সেবা হিসেবে ১২৫টি সড়ক অ্যাম্বুলেন্স, ৭টি জল অ্যাম্বুলেন্স এবং ৩টি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স।
মন্তব্য করুন