পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতির চাপে থাকা একজন ব্যস্ত মানুষ। গোটা রাজ্যের দায়িত্ব তার কাঁধে। কিন্তু এত কাজের মাঝেও তিনি প্রতিদিন কিছু সময় বের করে বাংলা মেগা সিরিয়াল দেখতে ভোলেন না। মমতার মতে, এটি তার দৈনন্দিন রুটিনের একটি অংশ।
সম্প্রতি চ্যানেল নিউজ ১৮ বাংলার বিশেষ শো-তে এসে এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন মমতা নিজেই। খবর হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
টিভি শো-তে মুখ্যমন্ত্রী নিজের এই অভ্যাস নিয়ে কথা বলেছেন। অনুষ্ঠানে পশ্চিবঙ্গের অভিনেতা অম্বরীশ ভট্টাচার্য তাকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি এত ব্যস্ততার মাঝেও সিরিয়াল দেখার সময় কীভাবে বের করেন? আপনার পছন্দের দুটি সিরিয়াল আর প্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীর নাম বলবেন?’
মমতা মজার ছলে উত্তর দেন, যাদের নাম বলব না, তারা তো আমায় ধরে বসবে! তবে তোমার অভিনয় খুব ভালো লাগে। তোমার ‘রোশনাই’ চরিত্রটি আমার প্রিয়। আর প্রত্যেক সিরিয়ালই আমার ভালো লাগে। সবাই খুব সুন্দর অভিনয় করে।
তিনি আরও জানান, প্রতিদিন রাত ২টা পর্যন্ত তিনি টিভি দেখেন বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপডেট নেন। তবে মারপিটের দৃশ্য তার একদম পছন্দ নয়। তিনি বলেন, মারপিট দেখলেই চ্যানেল বদলে দিই। কিন্তু যেসব সিরিয়াল সামাজিক বার্তা দেয়, সেগুলো দেখতে খুব ভালো লাগে।
মমতা জানান, তার পছন্দের সিরিয়ালগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘পর্ণা’, ‘জগদ্ধাত্রী’ এবং আরও কিছু নাম। সব চরিত্র ও গল্প তার নখদর্পণে। রাজনীতির ব্যস্ত সময়ে মাঝে সিরিয়াল দেখার এ অভ্যাস তাকে কিছুটা মানসিক শান্তি দেয় বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি সমর্থন জানিয়ে এসেছেন। চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন শিল্পের সঙ্গে তার সম্পর্কও বরাবরই ভালো। তিনি সেলিব্রিটিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করেন এবং তাদের নিমন্ত্রণে অংশগ্রহণ করতেও ভালোবাসেন।
এর আগে ২০২৩ সালে এক অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা ধারাবাহিক নিয়ে বলেন, ধারাবাহিকে একজনের তিনবার বিয়ে, কূটকচালি, ভালো চরিত্রকে খারাপ বানানো, গল্প টেনে বাড়ানো, এমনকি কাউকে মেরে ফেলার মতো ঘটনা সবসময় দেখা যায়। আমি কিন্তু এসব দেখলেই বুঝতে পারি।
তিনি ওই অনুষ্ঠানে নির্মাতাদের অনুরোধ করেন, ‘মানুষ খারাপ জিনিস দ্রুত শিখে নেয়। তাই অপরাধ দেখালে তার পর কঠোর শাস্তির দৃশ্য দেখানো উচিত। এতে সবাই সচেতন হবে, আর আমরা এর থেকে অনেক কিছু শিখতে পারব।’
মন্তব্য করুন