বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতনের দাবিতে উত্তাল ভারত। দেশটিতে মঙ্গলবার হাইকমিশন অভিমুখে উগ্রপন্থী কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএসের সমর্থনে নাগরিক সমাজ মার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনোমিকস টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পুলিশের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, বিক্ষোভ মিছিলকে সামনে রেখে বাংলাদেশ হাইকমিশনের বাইরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কাউকে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে দেওয়া হবে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লি সিভিল সোসাইটি এবং অন্যান্য অনেক সংগঠন বাংলাদেশি হিন্দুদের উপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন অভিমুখে পদযাত্রার ডাক দিয়েছে।
এদিকে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও নানা ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিএনপির তিন সংগঠন একযোগে লংমার্চ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। আগামীকাল বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা থেকে এই লংমার্চ শুরু হবে।
সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, আগামী বুধবার ঢাকা থেকে আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ করা হবে। নয়াপল্টন থেকে সকাল ৮টায় লংমার্চ শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে ভারতের হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির একদল উচ্ছৃঙ্খল সদস্য সহিংস হামলা চালিয়েছে। এ সময়ে একদল উচ্ছৃঙ্খল সন্ত্রাসী বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করেছে ও মিশনের সম্পদ নষ্ট করেছে। সহিংস ঘটনার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব ভূমিকায় ছিল, যা ওই ঘটনার পেছনে কর্তৃপক্ষের মৌনসম্মতি ইঙ্গিত করে। ভারত সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে ভিয়েনা কনভেনশনের বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী কূটনীতিকদের সুরক্ষা দিতে। এ ছাড়াও বিগত ২৮ নভেম্বরে কলকাতায়ও একই ধরনের সহিংস ঘটনা ঘটেছে।
মন্তব্য করুন