বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ তোলেন সনাতনী ঐক্য পরিষদ নামে ভারতীয় একটি সংগঠন। এর প্রতিবাদ স্বরূপ এবং চিন্ময় দাসের মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। এ সময় তারা অভিযোগ তোলেন, বাংলাদেশিরা ভারতে অনুপ্রবেশ করে বিরিয়ানির দোকান দিয়েছে। তাই বাংলাদেশিদের তৈরি বিরিয়ানি বয়কটের ডাক দেওয়া হয়।
সোমবার (০২ ডিসেম্বর) পেট্রাপোল সীমান্তে সংগঠনটি এ প্রতিবাদী সভার আয়োজন করে।
ইসকন নেতা, সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে উত্তাল ছিল গোটা দেশ। এরই ধারাবাহিকতায় ওপার বাংলাতেও সত্য-মিথ্যা এবং প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে প্রতিদিনই আন্দোলন হচ্ছে। জানানো হচ্ছে প্রতিবাদ। আর এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে ভারতে থাকা বাংলাদেশিদের দোকানে তৈরি বিরিয়ানি বয়কটের ডাক দিতে একটি বিরাট প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল সনাতনী ঐক্য পরিষদ। কিন্তু সেই প্রতিবাদ কর্মসূচির শেষে সভায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে বিতরণ করা হলো বিরিয়ানি। সভা শেষে প্রায় ১০ হাজার প্যাকেট বিরিয়ানি বিতরণ করা হয়েছে। এ নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকর্মীরা।
জানা যায়, সনাতনী ঐক্য পরিষদের আড়ালে এ সভাটি বিজেপি পরিচালনা করে। ফলে প্রচুর বিজেপি নেতাকর্মী এবং সমর্থকরা এ সভায় অংশ নেয়। বিজেপির একাধিক নেতা সভা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। তারা একে একে অনুপ্রবেশকারীদের (বাংলাদেশিদের) হাতে তৈরি বিরিয়ানি বয়কটের ডাক দেন। সেখানে ছিলেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। তিনি দাবি করেন, রাজ্যে যেভাবে বিরিয়ানি দোকান গড়ে উঠেছে কোনোভাবেই সেগুলি হিন্দুদের হতে পারে না। অর্জুন সিং সভা থেকেই বার্তা দেন, ওপার বাংলায় থাকা হিন্দুদের সব ধরনের সাহায্য করা হবে। প্রয়োজনে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠিও লিখবেন বলে জানান।
এ সভায় ছিলেন, কালিকানন্দ মহারাজ। তিনিও বাংলাদেশিদের তৈরি বিরিয়ানি বয়কটের ডাক দেন। বিজেপির অন্যান্য নেতারাও একই বার্তা দেন। বিজেপি নেতারা বলেন, হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বন্ধ না হলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়া হবে। সভা শেষে কয়েক হাজার সনাতনীদের নিয়ে নো ম্যানস ল্যান্ড পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। তবে জিরো পয়েন্টের ৩০ মিটার আগে বিএসএফ সদস্যরা তাদের মিছিলটি আটকে দেয়।
সর্বশেষে সেখানে বেলুন উড়িয়ে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।
মন্তব্য করুন