বাংলাদেশিদের জন্য ত্রিপুরায় হোটেল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাতে ত্রিপুরার হোটেল মালিকদের এক সভা থেকে এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
এদিকে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে সকাল থেকেই মাছ রপ্তানি শুরু হয়। ভারতীয়দের অনুরোধের প্রেক্ষিতে একটু তাড়াতাড়ি মাছ পাঠানো হচ্ছে বলে জানান ব্যবসয়ীরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশিদের আগে থেকে থেকেই জানিয়ে দেন, মঙ্গলবার যেন তাড়াতাড়ি মাছ পাঠানো হয়। কেননা, আমদানি-রপ্তানি বিষয়ে তাদের একটি সভা আছে। ওই সভা থেকে কিছু বার্তা দেওয়া হতে পারে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা অবশ্য মনে করছেন, আর যাই- হোক হুট করে মাছ আমদানি বন্ধ করবে না। কেননা, ওপারের সেভেন সিস্টার্স বলে খ্যাত ৭টি রাজ্যে বাংলাদেশের মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী নেসার উদ্দিন ভুঁইয়া জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকেই মাছ যাওয়া শুরু হয়েছে, আরও মাছ যাচ্ছে। নিজেদের মধ্যে আলোচনা আছে জানিয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আগেভাগে মাছ দিতে বলেন।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি মো. খাইরুল আলম কালবেলাকে বলেন, এ পথে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। তবে অন্য দিনের তুলনায় আজকে সকাল থেকে যাত্রী অনেক কম।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম বৃহৎ ও রপ্তানিমুখী এ স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে দেড় লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয় উত্তর-পূর্ব ভারতে। রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- মাছ, প্লাস্টিক, রড, সিমেন্ট, ভোজ্যতেল, তুলা ও বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী।
মন্তব্য করুন