ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কেবল স্বাস্থ্য নয়, ধূমপায়ীরা নিজের পাশাপাশি ক্ষতি করছেন পরিবেশেরও। সিগারেট খেয়ে এর ফিলটার অংশটি ফেলে দেন যেখানে সেখানে। আর এই ফেলে দেওয়া অংশ দিয়েই ভারতের উত্তর প্রদেশে তৈরি হচ্ছে শিশুদের জন্য আকর্ষণীয় খেলনা। বলা হচ্ছে, এর ফলে কমছে পরিবেশ দূষণ। সাথে সৃষ্টি হয়েছে অনেকের কর্মসংস্থান।
নানা রঙের চমৎকার কিছু খেলনা- পুতুল বানানো হচ্ছে সিগারেটের বর্জ্য দিয়ে। কেবল এই পুতুল নয়, বরং এইসব বর্জ্য দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে নানা ধরনের আকর্ষণীয় পণ্য। ক্ষতিকর এই সিগারেটের বর্জ্য দিয়ে এই দারুণ আইডিয়াটি ভারতের নয়ডার তরুণ উদ্যোক্তা নামান গুপ্তার। তিনি ফেলে দেওয়া সিগারেটের বর্জ্য কুড়িয়ে এনে এই অভিনব কাজটি করছেন। এতে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি তিনি আর্থিক লাভবানও হচ্ছেন।
জানা যায়, এই বর্জ্যগুলো মূলত কাগজ, তামাক, ফিল্টার এই ৩ ভাগে আলাদা করা হয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য বানাতে এই ৩ উপকরণই কাজে লাগানো হয়ে থাকে। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, এই বর্জ্য থেকে বানানো হয় নরম তুলতুলে বালিশও।
নামান জানান, সিগারেট থেকে আলাদা করা ওই কাগজগুলো দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরি করা হয়। তামাক থেকে তৈরি করা হয় কমপোস্ট পাউডার এবং ফেলে দেওয়া ফিল্টারগুলো দিয়ে নানা ধরনের খেলনা, বালিশ এবং আরও অনেক কিছুই তৈরি করেন। ভারতের অন্যতম জনবহুল শহর নয়াদিল্লি থেকে সংগ্রহ করা হয় প্রায় ১ হাজার কেজি সিগারেট বর্জ্য।
২০১৮ সালে পেশায় প্রোকৌশলী ভাই বিপুল গুপ্তকে নিয়ে কোড ইফোর্ট নামে স্টার্ট আপ শুরু করেন তিনি। মাত্র ১০ গ্রাম বর্জ্য সংগ্রহ করে শুরু করেছিলেন এই অভিনব কাজটি। নামান জানান, এখন পর্যন্ত ১২০ কোটিরও বেশি সিগারেটের বর্জ্য সংগ্রহ করতে পেরেছেন। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার কাজে অংশগ্রহণ করতে পেরে আনন্দিত এই কারখানার কর্মীরাও।
নামান গুপ্ত বলেন, ‘খেয়াল করলাম ফেলে দেওয়া এই সিগারেটের অংশগুলোর পরবর্তীতে কী হয়? এরপর আমি বেশকিছু গবেষণা করতে শুরু করি। আমি দেখলাম, কোনো রিসাইকেলিং সংস্থা নেই যারা এটি নিয়ে কাজ করবে। প্রায় ৬-৭ মাস গবেষণার পর আমি সক্ষম হই এর একটি সমাধান খুঁজে বের করতে।’
মন্তব্য করুন