ক্ষুধা লাগলে আপনি কী খান? সুস্বাদু কোনো খাবার কিংবা এমন কিছু যা খেলে শক্তি বাড়ে। কিন্তু এক ব্যক্তি দিব্যি খাচ্ছেন বিদ্যুৎ।
হাজার হাজার ভল্টের বিদ্যুৎ খালি হাতে ধরলেও কিছুই হয় না তার। আজব এ ঘটনায় চারদিকে সাড়া পড়ে গেছে। কিছু বুঝে উঠতে পারছেন না চিকিৎসকরাও।
খালি হাতে বিদ্যুতের তার ধরে আছেন এক ব্যক্তি। অথচ কিছুই হচ্ছে না তার। আবার ক্ষুধা মেটানোর জন্য খাবারের বিকল্প উৎস হিসেবেও ব্যবহার করছে এই বিদ্যুতকেই। একদিন ভুল করে খালি হাতে বিদ্যুতের তার ধরে ফেলেছিলেন ওই ব্যক্তি, কিন্তু কিছুই হয়নি তার।
এরপরই তিনি বুঝতে পারেন, তার শরীরে অলৌকিক কোনো ‘শক্তি’ আছে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরে। বিদ্যুতকে খাবার বানিয়ে ফেলা এই যুবকের নাম নরেশ কুমার। আজব এমন ক্ষমতার জন্য সংবাদের শিরোনামও হয়েছেন তিনি।
নরেশ বলেন, ডাক্তার বলার পর আমি বুঝতে পারি, আমার ভেতর কারেন্ট আছে। আমি একটি ঘরের ভেতর যাই। সেখানে আমি হাত লাগিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। কিন্তু সেখানে একটি তার ছেঁড়া ছিল তা আমি জানতাম না। আমার পা খালি ছিল। একজন আমাকে স্পর্শ করে। তখন ধাক্কা লেগে পড়ে যায়। ১৫-২০ মিনিট পর তার হুঁশ ফেরে। তিনি আমাকে জানান, আমার শরীর থেকে তার কারেন্ট লেগেছে।
এমন প্রতিভা আবিষ্কার করার পর নিজেকে ‘হিউম্যান লাইট বাল্ব’ ডাকনাম দিয়েছেন নরেশ। এরপর থেকেই নিজের এই প্রতিভাকে খাবার গ্রহণের ভিন্ন পন্থা হিসেবেও বেছে নিয়েছেন তিনি। যখনই তার ক্ষুধা লাগে, তখন তিনি একটি বিদ্যুতের তার নিজের মুখে ঢুকিয়ে দেন। ব্যাস, এভাবেই তৃপ্তি সহকারে খাবার গ্রহণ করেন নরেশ।
তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় এ ধরনের এক ব্যক্তি আছেন। তার নাম নরেশ। তিনি বিদ্যুতের তার মুখে দিয়ে দেন। হাত দিয়ে স্পর্শ করেন কিন্তু তার কিছুই হয় না। এটা ঈশ্বরের এক ধরনের বরদান। তিনি যে কোনো বিদ্যুতের লাইন ধরেন, কিন্তু তার কারেন্ট লাগে না।
নরেশের দাবি, ১০ হাজার কিংবা ৬০ হাজার ভোল্ট হলেও তিনি নির্দ্বিধায় বিদ্যুতের তার স্পর্শ করেন। তিনি ভয় পান না। এমনকি তার কিছুই হয় না। আজব এ ঘটনায় অবাক সবাই। এর কোনো ব্যাখ্যাও দিতে পারছে না কেউ। তবে পুরো বিষয়টি তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন নরেশ।
মন্তব্য করুন