বাংলদেশের রাজনৈতিক সংকটের সুযোগে ফুলেফেঁপে উঠছে ভারতের পোশাক রপ্তানি খাত। দেশটিতে গত বছরের তুলনায় এ বছরের সেপ্টেম্বরে ১৭ দশমিক তিন শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশটি পোশাক রপ্তাতিতে এমন সময়ে চমক দেখিয়েছে যখন অন্যান্য পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলো মন্দার সম্মুখীন হচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি এবং সরবরাহ শৃঙ্খলে বিঘ্নসহ বৈশ্বিক অস্থিরতার মধ্যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় ভারতের রপ্তানি খাত লাভবান হয়েছে।
ভারতের অ্যাপারেল এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের (এইপিসি) চেয়ারম্যান সুধীর সেখরি বলেন, বিশ্বব্যাপী সংকট এবং অব্যাহত মুদ্রাস্ফীতির চাপ সত্ত্বেও ভারতের তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানি উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এমনকি প্রধান পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলো সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আরএমজি রপ্তানি বৃদ্ধিতে পিছিয়ে পড়েছে।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ বাংলাদেশ, সামাজিক-রাজনৈতিক অস্থিরতার মোকাবিলা করছে। যার ফলে কিছু কারখানা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।
কেয়াররেটিংয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক অস্থিরতা এক বা দুই চতুর্থাংশেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকে, তবে তাদের রপ্তানিকারকরা সময়মতো ডেলিভারি নিশ্চিত করতে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, ভারত নিকটবর্তী মেয়াদে ২০০ থেকে ২৫০ মিলিয়ন ডলারের মাসিক রপ্তানি আদেশ পেতে পারে।
সেখরি জানান, ভারত আন্তর্জাতিক মেলায় অংশ নেওয়ার এবং ভারত টেক্স ২০২৫ আয়োজনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে, যা ভারতের পোশাক খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ড এবং ক্রেতাদের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠক করেছি। এসব বৈঠকে তাদের উপস্থিতি ভারতীয় রপ্তানিকারকদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলার দৃঢ় ইচ্ছার প্রতিফলন দেখা দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় বাণিজ্য, প্রযুক্তি এবং ঐতিহ্য প্রদর্শনের জন্য এইপিসি স্পেন এবং নিউইয়র্কে আন্তর্জাতিক রোডশো আয়োজন করতে চলেছে।
সংগঠনের সেক্রেটারি-জেনারেল মিথিলেশ্বর ঠাকুর বলেন, ভারতকে ক্রমবর্ধমানভাবে একটি পছন্দের জায়গা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভারতীয় পোশাক রপ্তানি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দুই সংখ্যা হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, ভারতের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর করেছে এমন দেশগুলোতে বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধির গতিপথকে উৎসাহিত করা হয়েছে।
মিথিলেশ্বর ঠাকুর বলেন, এফটিএ অংশীদার দেশগুলো এখন আরএমজি বাজার সম্প্রসারণ এবং বৃদ্ধির পথ তৈরি করছে।
মন্তব্য করুন