বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের পাশে দাঁড়ানোই কি কাল হয়ে দাঁড়াল মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকির জন্য? তার হত্যাকাণ্ড ঘিরে তোলপাড় চলছে মুম্বাইয়ে।
সন্দেহভাজন হিসেবে আটক হওয়া দুই ব্যক্তি দাবি করেছে, তারা আলোচিত ‘লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের’ সদস্য। যদিও মুম্বাই পুলিশ এখনো এই দাবির সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি এবং গ্যাংটিও আনুষ্ঠানিকভাবে হত্যার দায় এখনো স্বীকার করেনি।
শনিবার (১২ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, বান্দ্রা ওয়েস্ট এলাকায় ছেলে জিশান সিদ্দিকির অফিসের বাইরে বাবা সিদ্দিকিকে লক্ষ্য করে ছয়টি গুলি ছোড়া হয়, যার মধ্যে চারটি তার বুকে লাগে।
এ ঘটনায় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে বলেছেন, ‘মুম্বাই পুলিশ প্রধান আমাকে জানিয়েছেন, দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর একজন উত্তরপ্রদেশের, অন্যজন হরিয়ানার। তৃতীয় হামলাকারী পলাতক থাকলেও পুলিশ তাকে ধরার চেষ্টা করছে।’
এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের প্রস্তুতি মাসখানেক আগেই শুরু হয় এবং গত ২৫-৩০ দিন ধরে পরিকল্পনামাফিক রেকি করা হয়।
সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকির ঘনিষ্ঠতা ছিল বলিউডের বড় তারকাদের সঙ্গে। বিশেষ করে সালমান খান ও শাহরুখ খানের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক ছিল সুপরিচিত।
এমনকি, তাদের মধ্যকার বিবাদ মেটাতে সিদ্দিকির মধ্যস্থতা বড় ভূমিকা রেখেছিল বলে মনে করা হয়। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সিদ্দিকি দুই খানকেই তার ‘পকেটে’ রাখতেন, আর প্রতি বছর তার ইফতার পার্টিতে উপস্থিত থাকতেন বলিউডের প্রথম সারির তারকারা।
‘লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের’ সঙ্গে সিদ্দিকির হত্যাকাণ্ডের সম্পর্ক খতিয়ে দেখছে মুম্বাই পুলিশ। বিশেষত, সালমান খানের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি তদন্তের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
উল্লেখ্য, লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং এর আগেও সালমান খানকে হুমকি দিয়েছে এবং তার পরিণতি সিধু মুসেওয়ালার মতো হবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে। গত ১৪ এপ্রিল বান্দ্রায় সালমানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল দুজন।
সে ঘটনায় পুলিশ যে চার্জশিট পেশ করেছিল, তাতে দাবি করেছিল যে, গুলি চালানোর ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই দুই বন্দুকবাজের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল লরেন্স।
পুলিশ দাবি করেছিল যে, একটি অ্যাপের মাধ্যমে দুই শুটার ভিকি গুপ্তা এবং সাগর পালের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল লরেন্স। যে এখন জেলে আছে। ওই দুজন শুটারকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
সালমানকে কেন্দ্র করে এ ঘটনায় তার নিরাপত্তা বাড়ানোর অন্যতম প্রস্তাবক ছিলেন বাবা সিদ্দিকি। ফলে, তার ওপর হামলার পেছনে গ্যাংয়ের প্রতিহিংসা থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন