আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার বিচারসহ ১০ দফা দাবিতে ফের কর্মবিরতি শুরু করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র চিকিৎসকরা। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে ঘোষণা দিয়ে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) থেকে তারা এ কর্মসূচি পালন করছেন।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, রাজ্যের সব মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করবেন। তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে।
জুনিয়র চিকিৎসকরা বলছেন, রাজ্য সরকার নিরাপত্তার আশ্বাস দিলেও তা নিশ্চিত করেনি। আমরা এখনো ন্যায়বিচার পাব কি না তা নিয়ে সন্দেহে রয়েছি। এ ছাড়া আমাদের ১০ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে।
দাবিগুলো হলো- আরজি করে ধর্ষণ ও হত্যার দ্রুত ন্যায়বিচার, স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ, হাসপাতালগুলোতে পুলিশি নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা, সব সরকারি হাসপাতালে কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থা চালু করা, হাসপাতালের খালি শয্যার মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করা, ছাত্রসংসদ নির্বাচন, হাসপাতালগুলোর শূন্যপদ পূরণ করা, আন্দোলন দমাতে হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ, দ্রুত সব হাসপাতালে টাস্ক ফোর্স গঠন করে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো এবং জরুরি মুহূর্তে সাহায্য প্রার্থনায় প্যানিক বোতামের ব্যবস্থা করা।
প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট হাসপাতালের সভাকক্ষে রাতে ওই নারী চিকিৎসক বিশ্রাম নিতে গিয়েছিলেন। পরে সেখানে ৩১ বছর বয়সী ওই শিক্ষানবিশ নারী চিকিৎসকের মরদেহ পাওয়া যায়। তখনই তার রক্তাক্ত দেহে জখমের চিহ্ন ছিল। তাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় দোষীদের ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে উত্তাল হয় পশ্চিমবঙ্গ। ক্রমেই তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। আরজি করের চিকিৎসকদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে অন্যান্য রাজ্যের চিকিৎসক সংগঠনও কর্মবিরতিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করে। আন্দোলন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে গড়ায়। কয়েক দফা সংঘর্ষ, রাজ্য সরকারের সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস এবং আন্দোলন রাজনৈতিক পর্যায়ে গড়ালে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের চিকিৎসকরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
মন্তব্য করুন