কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বিজেপি কেন বারবার বাংলাদেশিদের টার্গেট করে?

এক সমাবেশে বিজেপির নেতাকর্মীরা। ছবি : সংগৃহীত
এক সমাবেশে বিজেপির নেতাকর্মীরা। ছবি : সংগৃহীত

কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উল্টো করে ঝোলানোর হুমকি দিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপির একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা। তার মতো একই চেতনা পোষণ করেন দলটির অন্যান্য নেতাকর্মীরাও। এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে বিজেপি নেতারা কেন বারবার বাংলাদেশিদের হিংসার লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বেছে নেন। এমন প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে বিবিসি।

বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কখনও উইপোকা, কখনও বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করার হুমকি আবার কখনও উল্টো করে ঝুলিয়ে শায়েস্তা করার শাসানি–বিজেপি নেতারা এ ধরনের মন্তব্য মাঝে মাঝেই করেন। এগুলো বেশি শোনা যায় নির্বাচনের সময়ে। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের আগে এ ধরনের মন্তব্য বারবারই করেন হিন্দুত্ববাদী নেতারা। হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির গবেষক স্নিগ্ধেন্দু ভট্টাচার্য জানান, একটা সময়ে পাকিস্তানকে লক্ষ্য করে যে ধরনের মন্তব্য করতেন হিন্দুত্ববাদী নেতা-নেত্রীরা, এখন বাংলাদেশিদের উদ্দেশেও সে ধরনের কথা বলছেন তারা।

এ রাজনৈতিক বিশ্লেষক জানান, হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো সবসময়েই একটা অপরপক্ষ খাড়া করার চেষ্টা করে। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর কাছে সেই অপর পক্ষ হচ্ছে মুসলমানরা। সব মুসলমানকেই সে জন্য এরা বহিরাগত বলার চেষ্টা করে। এতদিন তাদের কাছে অপরপক্ষ ছিল পাকিস্তান। কিন্তু গত এক দশক ধরে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশকেও এরা টার্গেট করছে।

বলা হচ্ছে, বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশকে কেন্দ্র করে বিজেপি যে রাজনীতি করে, সেটা পুরো পূর্ব ভারতেই করা হয়েছে। এর আগে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা তো ছিলই, সম্প্রতি ঝাড়খণ্ড আর ওড়িশাতেও সেই একই পরিকল্পনা করেছে হিন্দুত্ববাদীরা। আর এই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে বিজেপির প্রচারের ফলে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা অন্যান্য রাজ্যে বিপদে পড়ছেন। কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র বা দিল্লি লাগোয়া অঞ্চলে অনেকদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি মুসলমানদেরও বাংলাদেশি, অনুপ্রবেশকারী বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ও কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী জানান, বাংলাদেশি মানুষকে নিয়ে এ ধরনের কথা ভারতের নেতারা অনেক সময়েই তাদের নিজেদের সমর্থকদের, ভোটদাতাদের উদ্দেশে বলে থাকেন, বিশেষত নির্বাচনের সময়ে। ভোটারদের মধ্যে একটা মেরুকরণের প্রচেষ্টা এটা।

এদিকে অমিত শাহর মন্তব্য নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গভীর আপত্তি, তীব্র ক্ষোভ এবং চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি ভারতীয় রাজনীতিবিদদের প্রতি এমন আপত্তিকর এবং অগ্রহণযোগ্য মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায় ঢাকা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আ.লীগ নেতা সফিককে বহনকারী প্রিজনভ্যানে ডিম নিক্ষেপ

সেরা সংবাদ সম্মাননা পুরস্কার পাচ্ছেন প্রবাসী সাংবাদিক খান লিটন

সাবেক এমপির ভগ্নিপতি আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

দর্শনা পৌর যুবদল নেতা মিল্টন বহিষ্কার

দুর্নীতির কথিত অভিযোগ নিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহর স্ট্যাটাস

সবাই মনে করে আমি পুঁজিবাজারের ভালো চাই না : আইসিবি চেয়ারম্যান

৫ বছর পর দেশে ফিরেছেন সাংবাদিক নাজমুস সাকিব

ইজতেমার ঘটনায় সাদপন্থির তওবা, ভিডিও ভাইরাল

আদালতে আ.লীগ নেতাকে বেধড়ক মারধর

ডিএমপির ট্রাফিক মামলার জরিমানা কমিউনিটি ব্যাংকে দেওয়া যাবে; সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

১০

ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষের ঘটনায় ২৯ জনের নামে হত্যা মামলা

১১

২৯০০ পিস ইয়াবাসহ দম্পতি গ্রেপ্তার 

১২

আ.লীগের শাসনামলেই সংখ্যালঘুরা বারবার নির্যাতিত হয়েছে : খন্দকার এনাম

১৩

নারী শিক্ষায় বাধা দেবে না সিরিয়ার নতুন সরকার

১৪

জানা গেল কেরানীগঞ্জের সেই তিন ডাকাতের পরিচয়

১৫

‘ক্ষমতা নয়, দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে বিএনপি’

১৬

ফিলিস্তিন স্বীকৃতি ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয় : সৌদি

১৭

বাংলাদেশিদের সুখবর দিল থাই দূতাবাস

১৮

শরীরে ছররা গুলি নিয়ে ব্যথায় দিন কাটাচ্ছেন সোবহান

১৯

‘কিডনি রোগীকে সহায়তা ও আইফোন কিনতেই ডাকাতির চেষ্টা’

২০
X