আরজি কর হাসপাতালে শিক্ষানবিস চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে ডাকা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরেছেন দিল্লি- মুম্বাইসহ ভারতের প্রায় সব অঞ্চলের চিকিৎসকরা। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসকরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ধর্ষণ ও হত্যার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এবং চিকিৎসকরা অন্যান্য দাবি পূরণের আশ্বাস পাওয়ায় বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। তারা নিয়মিত ডিউটিতে ফিরে চিকিৎসাসেবা শুরু করেছেন। কিন্তু আরজি কর হাসপাতালে আন্দোলনরত ও পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র চিকিৎসকরা এখনই বিক্ষোভ থামাচ্ছেন না। তারা শুক্রবারও (২৩ আগস্ট) কর্মবিরতি পালনের পাশাপাশি বিক্ষোভ করবেন।
আরজি কর হাসপাতালে শিক্ষানবিস চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় দোষীদের ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে উত্তাল হয় পশ্চিমবঙ্গ। ক্রমশ তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। আরজি করের চিকিৎসকদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের চিকিৎসক সংগঠন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আন্দোলনের মধ্যে নিহতের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ নিয়ে আরজি করের মামলা শুনছে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি ছিল।
পরে আদালত জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার অনুরোধ করেন। এতে আস্থা রেখে দেশজুড়ে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন।
পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তারা এখনই আশ্বস্থ হতে পারছেন না। অপরাধী সবাই গ্রেপ্তার না হলে সুষ্ঠু বিচার নিয়ে শঙ্কা থাকছেই। তাই আপাতত আন্দোলন চলবে। শুক্রবার সিবিআই দপ্তরে তাদের প্রতিনিধি দল গিয়ে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে খোঁজ নেবেন। পরে কর্মবিরতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট হাসপাতালের সভাকক্ষে রাতে ওই নারী চিকিৎসক বিশ্রাম নিতে গিয়েছিলেন। পরে সেখানে ৩১ বছর বয়সী ওই শিক্ষানবিশ নারী চিকিৎসকের মরদেহ পাওয়া যায়। তখনই তার রক্তাক্ত দেহে জখমের চিহ্ন ছিল। কিন্তু একটি পক্ষ হত্যার বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর কলকাতার পাশাপাশি ভারতজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। এখনো সেখানে উত্তাল পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
মন্তব্য করুন