বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতার কারণে ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্য মেঘালয়ের পর মণিপুরেও কারফিউ জারি করা হয়েছে। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (৭ আগস্ট) আসাম সীমান্তবর্তী ফেরজাওল ও জিরিবাম জেলায় এই কারফিউ জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ফেরজাওলে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে। জিরিবামে সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
মণিপুরের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের যুগ্মসচিব এক নির্দেশনায় বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতিতে মণিপুরে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে। এমন অবস্থায় অবৈধ অভিবাসীদের আগমন রোধে কঠোর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। তারই অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্ট দুটি জেলার ডেপুটি কমিশনারদের রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করতে ও সীমান্তে সবসময় পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন রাখতে জেলা প্রশাসনকে কঠোর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
গত সোমবার ভারতের উত্তর-পূর্বঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ে কারফিউ জারি করা হয়। মেঘালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে মণিপুরের কোনো আন্তর্জাতিক সীমান্ত নেই। কিন্তু আসামের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে। আর দক্ষিণ আসামের সঙ্গে রয়েছে মণিপুরের সীমান্ত। এ কারণেই রাজ্যটির আসাম সীমান্ত সংলগ্ন ফেরজাওল ও জিরিবাম জেলায় কারফিউ জারি করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মে মাস থেকে জাতিগত সহিংসতায় মণিপুরে আড়াই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। বেশ কয়েক হাজার মানুষ গৃহহীন। সেখানে এখনো অস্থিরতা চলছে। মাঝেমধ্যেই মণিপুরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে এবং মানুষ মারাও যাচ্ছেন। রাজ্যে সহিংসতা শুরুর পর গত ১৫ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখনো মণিপুর সফরে যাননি। সম্প্রতি সেখানে লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের দুটি আসনই জিতেছে কংগ্রেস।
এদিকে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে কেউ অস্থিতিশীল করতে চাইলে চারদিকে অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে পড়বে। প্রতিবেশী মিয়ানমার, ভারতের সেভেন সিস্টার্স, পশ্চিমবঙ্গসহ সব জায়গাতেই এই অস্থিতিশীলতা তৈরি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনিডিটিভকে দেওয়া এক অনলাইন সাক্ষাৎকারে এই আশঙ্কার কথা জানান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মন্তব্য করুন