লোকসভার পর বিধানসভার ছয় আসনের উপনির্বাচনে হেরে রাজ্য রাজনীতি চাঙ্গা রাখতে পশ্চিমবঙ্গ ভেঙে আলাদা বাজ্য গড়ার দাবি তুলেছে বিজেপি। এ বিষয়টি সামনে রেখে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনেও মেতেছে দলটি। অন্যদিকে বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনতে যাচ্ছে তৃণমূল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী সোমবার বিধানসভায় এ প্রস্তাব আনবে তৃণমূল। এ দিন বিধানসভায় বন মহোৎসবের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
তৃণমূলের দলীয় সূত্র জানিয়েছে, বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবসংক্রান্ত আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রীও অংশ নেবেন।
বিজেপির সূত্রে জানা গেছে, দলটির বিধানসভার সদস্যরাও এ আলোচনায় অংশ নেবেন।
রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামী সোমবার বিধানসভার চলতি অধিবেশনের শেষ দিনে বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে প্রস্তাবটি আনা হবে এবং এ নিয়ে আলোচনা হবে।
এর আগে রাজ্য বিধানসভায় ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একবই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। এ নিয়ে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, কেবল রাজনৈতিক স্বার্থে বঙ্গভঙ্গবিরোধী প্রস্তাব আনা হচ্ছে।
জানা গেছে, উত্তরবঙ্গের বালুরঘাট কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয়বারের জন্য জিতে উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। উত্তরবঙ্গের কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিকে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রকল্পগুলির অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে প্রস্তাব দিয়েছেন। এরপরই নতুন করে বঙ্গভঙ্গের আলোচনা শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে গোড্ডার বিজেপি সংসদ সদস্য নিশিকান্ত দুবে বিহারের কাটিহার, আরারিয়া, কিষানগঞ্জের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ, মুর্শিদাবাদ জেলাকে নিয়ে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়ার দাবি তুলেছেন।
বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গ নিয়ে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলে, বঙ্গভঙ্গ করতে গেলে তা রুখে দেব। ভোট চলে গেলেই ভাগাভাগি ইস্যু দিয়ে আসা হয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
কেউ কেউ বলছেন, মুর্শিদাবাদ-মালদহ ভেঙে দেওয়া হোক। আবার অন্যরা বলছেন, আসামের তিন জেলাকে নিয়ে নতুন কিছু করা হোক। কারো কারো মতে, উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্বের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হোক।
বঙ্গভঙ্গ নিয়ে বিজেপির অবস্থানের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। আমরা বঙ্গভঙ্গ, বাংলা ভাগ, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বা আলাদা রাজ্য এ সব চাই না।
মন্তব্য করুন