কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২৪, ০৫:৪৯ পিএম
আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২৪, ০৬:০০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জ্যান্ত এই মাছ গিলে খেলেই মিলবে রোগমুক্তি!

ভারতের হায়দ্রাবাদে জ্যান্ত মাছ খাইয়ে দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা। ছবি : সংগৃহীত
ভারতের হায়দ্রাবাদে জ্যান্ত মাছ খাইয়ে দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা। ছবি : সংগৃহীত

নাক মুখ চেপে ধরে এক প্রকার জোর করে খাওয়ানো হচ্ছে জ্যান্ত মাছ। দেখে মনে হতে পারে হয়তো জোরজবরদস্তি করেই এমন কাণ্ড ঘটানো হচ্ছে। কিন্তু না, জ্যান্ত এসব মাছ খাওয়ার জন্য স্বেচ্ছায় জড়ো হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। কেন এমন অদ্ভূত আচরণ? জ্যান্ত মাছ খাওয়ার জন্য জড়ো হওয়া মানুষের উদ্দেশ্যই বা কী?

এটি মূলত একটি চিকিৎসা পদ্ধতি, যার দেখা মিলেছে ভারতের হায়দ্রাবাদে। মূলত হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি পেতেই অদ্ভূত এ চিকিৎসা চলছে। যাতে জীবিত শোল মাছ গিলে খেলেই মিলবে মুক্তি। এমনটাই দাবি করেছেন আয়োজকরা।

মাছপ্রসাদ নামে পরিচিত এ আয়োজনে আগত রোগীদের একটি হলুদ হারবাল পেস্ট ও ছোট আকারের জীবিত শোল মাছ খাওয়ানো হয়।

সেখানে চিকিৎসা নিতে আসা একজন রোগী বলেন, আমি এখানে গত ২০-২৫ বছর ধরে আসছি। গেল দুই বছর আমি এই ওষুধ খাচ্ছি। এখন আমি সম্পূর্ণ রোগমুক্ত। যখন মাছটি আপনার মুখের ভেতর দেওয়া হবে তখন আপনি প্রথমে একটু অস্বস্তি বোধ করবেন, কিন্তু এটি আসলে কিছুই নয়। আপনি যদি এটি সঠিকভাবে করেন তাহলে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।

চিকিৎসাবিজ্ঞানে অদ্ভূত এ পদ্ধতির কোনো ভিত্তি না থাকলেও এই চিকিৎসা নেওয়ার জন্য সারিবদ্ধ হয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে হাজার হাজার মানুষকে। এই চিকিৎসাপদ্ধতিতে হলুদ, স্টার্চ এবং অন্যান্য উপাদান দিয়ে তৈরি একটি পেস্ট প্রথমে একটি শোল মাছের মুখে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, তারপর সেই মাছটিকে রোগীদের মুখে ঢুকানো হয়।

চিকিৎসা নিতে আসা আরেকজন রোগী বলেন, আমার হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টের কিছু সমস্যা রয়েছে। আমি শুনেছি এখানে জ্যান্ত মাছ গিলে খেলে রোগ সেরে যায়। সেটি শুনে এখানে প্রথমবার আসলাম। এটি যদি কাজ করে থাকে তবে আগামী বছর আবারও আসব।

তিনি বলেন, প্রথমে একটু অস্বস্তি অনুভব হয়। অনেক সময় মাছটি বেরিয়ে আসতে চায় কিন্তু এটিকে পুনরায় গিলে ফেলতে হয়। দুই মিনিট পর সব স্বাভাবিক হয়ে যায়।

আয়োজকরা দাবি করছেন, এ ধরনের মাছ যে কোনো ধরনের কফ ও শরীরে কোনো জমাটবদ্ধ পরিস্থিতি পরিষ্কার করে থাকে। তাদের এ দাবি বিশ্বাসও করছেন হাজার হাজার মানুষ, যার দেখা মেলে মাছপ্রসাদ আয়োজনে।

অদ্ভূত এ আয়োজনের দিন ঠিক করেন হিন্দু জ্যোতিষীরা। আগত রোগীদের মুক্তিলাভের জন্য পর পর তিন বছর এ প্রসাদ গ্রহণের জন্য বলা হয়ে থাকে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যশোরে বিএনপি অফিস ভাঙচুর, আ.লীগের ৬৩ নেতাকর্মীর নামে মামলা

হবিগঞ্জে নির্ধারিত সময় শেষেও জমা পড়েনি ৩১টি অস্ত্র

নওগাঁয় দুই সাংবাদিককে তুলে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন

আহাজারি থামছেই না নিহত মাসুদের মায়ের

‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৪৯ শিক্ষককে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে’

রাজশাহীতে মাসুদ হত্যা নিয়ে আ.লীগের বিবৃতি

লাইফ সাপোর্টে মুস্তাফা মনোয়ার

দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অফিস

শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার বিষয়ে ঢাবি শিক্ষকদের মতবিনিময় আজ

মেঘনার গর্ভে বিলীন ২০টি বাড়ি

১০

রিমার্ক-হারল্যানে মেহেদী মিরাজকে উষ্ণ অভ্যর্থনা

১১

যুবদল নেতা নয়নকে অব্যাহতির বিজ্ঞপ্তি ভুয়া

১২

অফিস শেষে বাড়ি ফেরা হলো না হাসান-মাসুমের

১৩

এক কমেন্টেই শিক্ষা জীবন শেষ নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীর 

১৪

বগুড়ায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে খুন

১৫

পাটগ্রাম সীমান্তে বিজিবির উদ্যোগে রাস্তা নির্মাণ

১৬

মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে লাঞ্ছিত করলেন যুবদল নেতা

১৭

নেতাকর্মীদের প্রতি বিএনপির বিশেষ বার্তা

১৮

জোরপূর্বক প্রধান শিক্ষকের রুমে তালা, যুবদল-ছাত্রদল নেতা আটক

১৯

ট্রাক শ্রমিকের মৃত্যু / নোয়াখালীতে একরামুলসহ ৫৩ আ.লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

২০
X