ভারতের সুপ্রিম কোর্ট দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিন মঞ্জুর করেছেন। শুক্রবার (১২ জুলাই) শুনানির পর আদালত এ জামিন দেন। কিন্তু এতে এখনই মুক্তি মিলছে কেজরিওয়ালের। খবর আনন্দবাজারের।
জানা গেছে, সুপ্রিম কোর্ট এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন দেন। একই দিন জেল হেফাজতে তার থাকার মেয়াদ বৃদ্ধি করে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। সিবিআইয়ের মামলায় এ আদেশ আসে। তাই আগামী ২৫ জুলাই পর্যন্ত তিহাড় জেলেই তাকে থাকতে হবে।
গত ২১ মার্চ রাতে কেজরিওয়াল গ্রেপ্তার হন। ওই রাতে দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় তার বাসভবনে অভিযান চালায় ইডি। তার আগে ৯ বার দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির সমন এড়িয়েছেন তিনি।
গ্রেপ্তারের রাতে সন্ধ্যা থেকেই ওই ঘটনায় তার বাড়িতে তল্লাশি শুরু করা হয়। এ সময় তার ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভারতের ইতিহাসে কেজরিওয়ালই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকাকালীন গ্রেপ্তার হলেন। এর আগে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকেও গ্রেপ্তার করে ইডি। তবে গ্রেপ্তারির আগে হেমন্ত মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন।
কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তারের পর থেকে দফায় দফায় ইডি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। বর্তমানে তিনি তিহাড় জেলে বন্দি।
এদিকে সমান তালে কেজরিওয়াল জামিনের তদবির করে আসছেন। লোকসভা নির্বাচনের সময় তিনি জামিনে মুক্তিও পেয়েছিলেন। ভোটের পর তাকে আবার কারাগারে ফিরতে হয়।
এরপর গত ২০ জুন দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত তার স্থায়ী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। কিন্তু ইডির শক্ত প্রতিবাদ জানায়। এক পর্যায়ে গত ২৫ জুন ইডির আবেদন মেনে তার জামিন খারিজ করেন আদালত। শুনানিটি বিচারপতি সুধীরকুমার জৈন এবং বিচারপতি রবীন্দ্র দুদেজার অবকাশকালীন বেঞ্চে হয়েছিল।
জামিনের আবেদন নামঞ্জুরের খবরের পর পরই ২৫ জুনই রাতে তিহাড় জেলে যায় সিবিআই। পরের দিন নানা নাটকীয়তা শেষে সিবিআই কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার দেখায়। সিবিআই বলছে, আবগারি মামলায় ১০০ কোটি বেশি দুর্নীতি হয়েছে। এর মূল ষড়যন্ত্রকারী কেজরিওয়াল। মামলার তদন্ত এবং স্বাভাবিক বিচারকাজের স্বার্থে তাকে জামিন দেওয়া উচিত হবে না।
মন্তব্য করুন