সরকারি যেন সোনার হরিণ। এ জন্য কখনো কখনো তৃতীয় শ্রেণির বিভিন্ন চাকরিতেও প্রায়ই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদেরও আবেদনের লম্বা তালিকা দেখা যায়। তবে এমন চিত্র যদি প্রাইভেট কোনো চাকরির ক্ষেত্রে হয়, তাহলে তা নিশ্চয় অবাক হওয়ার মতো বিষয় ছাড়া কিছু নয়।
ঠিক তেমনই একটি ঘটনা এবার সামনে এসেছে। বেসরকারি একটি কোম্পানিতে ১০টি পদের বিপরীতে আবেদনপত্র নিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন ১৮০০ প্রার্থী। তাদের বাড়তি চাপের কারণে ভবনের রেলিং ভেঙে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের গুজরাটে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ১০টি পদের জন্য ১৮০০ প্রার্থী সাক্ষাৎকারের জন্য গিয়েছিলেন। ফলে প্রার্থীদের ভিড় ও লোকসমাগমের চাপাচাপির কারণে ভবনের একটি রেলিং ভেঙে পড়েছে।
এ ঘটনায় ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস মোদি সরকারকে দায়ী করছে। তারা বলছে, গুজরাটকে মডেল হিসেবে আখ্যা দিয়ে আসছে মোদি সরকারের দল। অথচ এ জায়গাতেই এতসংখ্যক লোক বেকার রয়েছেন।
অন্যদিকে এ ঘটনায় নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করেছেন বিজেপির এক নেতা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীদের দীর্ঘ লাইনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা গেছে, শত শত প্রার্থী চাকরির জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তারা সাক্ষাৎকারের জন্য একটি হোটেলে ঢোকার চেষ্টা করছেন। এ সময় লাইনে পেছনের দিকে থাকা লোকজন সামনের লোকজনকে ধাক্কা দিচ্ছে। তখন সেখানকার দুই একজন রেলিঙের ওপর দাঁড়ান। এরপরই রেলিংটি পুরোপুরি ভেঙে যায়।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি কি ভারতের বেকারত্বের নির্মম চিত্র?
এ ঘটনায় বিজেপির স্থানীয় এমপি মাঙ্কুশ বাসাবা বলেন, ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে সেটি হলো মিনি ইন্ডিয়া। এ জায়গায় সব রাজ্যের মানুষ কাজের খোঁজে আসেন।
তিনি নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর দোষ চাপিয়ে বলেন, মাত্র ১০ জন লোক নেওয়ার কথা হলেও এখানে সরাসরি সাক্ষাৎকারের আয়োজন করা হয়েছে। এর বদলে তাদের উচিত ছিল কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা।
মন্তব্য করুন