চারদিকে প্রশ্নফাঁস নিয়ে যখন এতো আলোচনা ঠিক তখনই সামনে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। ৩০ লাখ টাকা দিয়ে প্রশ্ন কিনেও পরীক্ষায় ভালো ফল করতে পারেননি পরীক্ষার্থীরা। সম্প্রতি এমন দাবি তুলে আন্দোলনে নেমেছেন পরীক্ষার্থীরা। অন্যদিকে পরীক্ষার্থীদের এমন দাবি অস্বীকার করেছেন আয়োজক সংস্থা।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা নিট-ইউজির প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নেমেছেন পরীক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, ৩০ লাখে বিক্রি হয়েছে প্রশ্ন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)।
বুধবার (১০ জুলাই) শীর্ষ আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছে সংস্থাটি। তারা জানিয়েছে, নিট পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ সত্য নয়। পাটনায় যেসব পরীক্ষার্থী প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে তারা কেউ ভালো ফল করেননি। এতে করে পরীক্ষার স্বচ্ছতা নষ্ট হয়নি।
কয়েক দিন ধরে চলতি বছরের নিট-ইউজি পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক চলছে। এমনকি এ পরীক্ষা নিয়ে মামলাও হয়েছে। মেডিকেলে স্নাতক ভর্তির এ জাতীয় স্তরের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস থেকে শুরু করে একাধিক অভিযোগ ছিল। এর প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টেও জমা পড়েছে বহু আবেদন। এ ঘটনায় বিহার পুলিশও তদন্ত চালিয়েছে।
সূত্রের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, এ পরীক্ষায় ৩০ লাখ রুপিতে প্রশ্ন বিক্রি হয়েছে। এমনকি প্রশ্নের সঙ্গে উত্তরও সরবরাহ করা হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। তবে এনটিএর হলফনামায় দাবি করা হয়েছে, এ ঘটনায় জড়িত কোনো পরীক্ষার্থী সেভাবে ভালো ফল করতে পারেনি।
এনটিএ জানিয়েছে, পাটনায় নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র যে ট্রাংকে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তার কোনোটার তালা ভাঙা ছিল না। এমনকি পরীক্ষার আগে কোনো প্রশ্নপত্রও হারায়নি। এনটিএ পর্যবেক্ষকরাও এ নিয়ে কোনো অভিযোগ করেননি।
রাজস্থানের সাওয়াই মাধোপুরের ঘটনা প্রসঙ্গে এনটি জানিয়েছে, প্রথমে সেখানে ভুল প্রশ্নপত্র বিলি করা হয়েছিল। পরে তা পাল্টে দেওয়া হয়। তবে সেখানকার অনেক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা না দিয়ে হল ছেড়েছিলেন। তাই সে পরীক্ষার্থীদের মাধ্যমে কিছু প্রশ্নপত্রের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
উল্লেখ্য, গত ৫ মে নিট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যে গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে যে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়।
এ ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে আদালতে অভিযোগ করেন পরীক্ষার্থীরা। এরপর শুরু হয় আন্দোলন। তবে কোনো প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি বলে কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন