ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপের তিন দেশ নরওয়ে, স্পেন ও আয়ারল্যান্ড। এতে চরম ক্ষুব্ধ হয়েছে ইসরায়েল।
বুধবার (২২ মে) স্বীকৃতির ঘোষণা আসার পর পরই প্রতিক্রিয়া জানান ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। তিনি আয়ারল্যান্ড ও নরওয়েতে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতদের অবিলম্বে ইসরায়েলে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। ইউরোপের তিন দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়ে ভালো করেনি বলেও হুংকার দেন।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এক বিবৃতিতে বলেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে আজ ফিলিস্তিনিদের এবং সমগ্র বিশ্বের কাছে একটি বার্তা পাঠাতে চায়, তারা সন্ত্রাসবাদকে মূল্যায়ন করে।
ইসরায়েল বলেছে, ইউরোপীয় দেশগুলোর স্বীকৃতি ‘চরমপন্থা ও অস্থিতিশীলতাকে ইন্ধন দেবে’ এবং তাদের এ কাজ হামাসের হাতে দাবার গুটি তুলে দেবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, হামাস ইহুদিদের ওপর গণহত্যা চালানোর পরেও, হামাসের দ্বারা যৌন অপরাধ বিশ্ব প্রত্যক্ষ করার পরও দেশগুলো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়ে হামাস ও ইরানকে পুরস্কৃত করেছে।
তিনি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেশগুলোর বিকৃত আচরণ বলে উল্লেখ করেন। বলেন, পদক্ষেপটি অক্টোবরে হামাসের হাতে নিহতদের স্মৃতির প্রতি অবিচার, ১২৮ জিম্মিকে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার জন্য একটি আঘাত। এটি হামাস ও ইরানের জিহাদিদের উৎসাহ দেবে। যা শান্তির সুযোগকে ক্ষুণ্ন করে এবং ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
আজ নরওয়ে, স্পেন ও আয়ারল্যান্ডের নেতারা বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির লক্ষ্যে ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেবেন তারা।
নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গহর স্টোর, আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস ও স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ এ ঘোষণা দেন। তাদের বক্তব্যের মূল কথা ছিল, একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানই সর্বোত্তম পথ। ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি না থাকলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আসতে পারে না। এ স্বীকৃতি ইসরায়েলের বিপক্ষে নয় আবার হামাসকে সমর্থন করাও নয়। এটি শান্তির জন্য একটি পদক্ষেপ।
মন্তব্য করুন