ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে বেশ কয়েক দফায় তলানিতে পৌঁছেছে ইসরায়েল-তুরস্কের সম্পর্ক। সবশেষ গাজা যুদ্ধ নিয়ে এ সম্পর্ক এবার চূড়ান্ত অবনতির পথে হেটেছে। ইসরায়েলের সঙ্গে বন্ধ করা হয়েছে সবধরনের তুর্কি বাণিজ্য। এমন পরিস্থিতিতে হামাসকে সন্ত্রাসী নয় বরং তুর্কি স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের সঙ্গে তুলনা করে প্রশংসায় ভাসেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।
এবার আর সমর্থন নয় প্রকাশ্যেই ঘোষণা দিলেন হামাসকে দেওয়া তুর্কি সহায়তার।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিসের সঙ্গে সোমবার আঙ্কারায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের এরদোয়ান আবার হামাসের প্রতি নিজের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে জানান, হামাসকে তিনি কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করেন না। বরং তারা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও জনগণের অধিকার রক্ষার সৈনিকের দায়িত্ব পালন করছে।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট জানান, তুরস্ক তার সাধ্যমতো হামাসকে সব সময় সহায়তা করে যাবে। এ সময় তুরস্কের হাসপাতালগুলোতে কয়েক হাজার হামাস যোদ্ধা আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, যখন হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলা হবে তখন তুরস্কের আপত্তি থাকবে। আমি কখনোই হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করি না। আমি এখন পর্যন্ত হামাসকে ধাপে ধাপে অনুসরণ করছি। আমার দেশে, আমাদের হাসপাতালে হামাসের এক হাজারেরও বেশি সদস্য রয়েছে। তারা সবাই চিকিৎসাধীন এবং আমরা এভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
অবশ্য এরদোয়ানের এমন বক্তব্যের ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন তুরস্কের এক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা জানান, এখানে শুধু হামাস সদস্য নয় বরং হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকা থেকে আসা আহত ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসার কথা উল্লেখ করা হয়ছে। গেল বছরের নভেম্বরে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপের পর আঙ্কারা আহত বা অসুস্থ গাজাবাসী, প্রধানত উপত্যকার ক্যান্সার রোগীদের তাদের আত্মীয়দের সঙ্গে সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এ সময় এরদোয়ান ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদের বিষয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবকে তুলে ধরে, জোর দিয়ে জানান- একটি স্থায়ী সমাধানের চাবিকাঠি ১৯৬৭ সালের সীমানার ওপর ভিত্তি করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মধ্যে নিহিত। যার রাজধানী হিসেবে ‘পূর্ব জেরুজালেম’ শহরকে মেনে নিতে হবে।
মন্তব্য করুন