রাশিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো। এমন অভিযোগ করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা।
শনিবার ন্যাটোর ‘স্টিডফাস্ট ডিফেন্ডার’ নামক সামরিক মহড়ার প্রেক্ষাপট নিয়ে কথা বলার সময় মারিয়া জাখারোভা এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সংঘাতের জন্য গুরুত্বসহকারে প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো।
অপরদিকে রাশিয়া ন্যাটোভুক্ত দেশে হাইব্রিড ধাঁচের হামলা শুরু করার বিষয়টি অস্বীকার করে মারিয়া জাখারোভা বলেন, এটা বিভ্রান্তিকর ভুল তথ্য; যা জোটের কার্যক্রম থেকে মানুষের নজর আড়াল করার লক্ষ্যে ছড়ানো হয়েছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ন্যাটো ঘোষণা দেয়, রাশিয়ার সীমান্তের কাছে তারা সামরিক মহড়া চালাবে। সে অনুযায়ী, ইতিমধ্যে রাশিয়ার সীমান্তের কাছে ন্যাটোর চার মাস ধরে দীর্ঘ সামরিক মহড়া চলছে।
ন্যাটো জানায়, এই মহড়ায় ন্যাটোর ৯০ হাজার সেনা অংশ নিচ্ছে। রাশিয়ার সীমান্তবর্তী দেশগুলোতে এবং জোটের পূর্ব প্রান্তে কোনো সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে ইউরোপীয় মিত্রদের কীভাবে শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে, সেই মহড়াও চালাবে। স্নায়ুযুদ্ধের পর ন্যাটোর সবচেয়ে বড় এই মহড়া মে মাস পর্যন্ত চলবে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, রাশিয়া নয়, বরং ন্যাটোই অস্ত্র, গোয়েন্দা তথ্য এবং অর্থ দিয়ে ইউক্রেনকে সহায়তা করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে হাইব্রিড যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
মারিয়া আরও বলেন, স্নায়ুযুদ্ধের পর ন্যাটোর সবচেয়ে বড় মহড়া ‘‘স্টিডফাস্ট ডিফেন্ডার’’ এই মুহূর্তে রাশিয়ার সীমান্তের কাছে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, রাশিয়ার বিরুদ্ধে জোটের পদক্ষেপের অংশ হিসেবে হাইব্রিড এবং প্রচলিত অস্ত্রসহ সব ধরনের উপকরণ ব্যবহার করে অনুশীলন করা হচ্ছে। এরপরও তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে সাইবার হামলার অভিযোগ তুলেছে জার্মানি। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক এই অভিযোগ করেছেন। অস্ট্রেলিয়া সফরকালে তিনি বলেন, রাশিয়ার সামরিক গুপ্তচর সংস্থা জিআরইউর এপিটি২৮ নামের একটি ইউনিট ২০২৩ সালের জুনে জার্মানির সরকারি জোটের প্রধান শরিক দল এসপিডির সদর দপ্তরে সাইবার হামলা চালিয়েছে।
জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে তদন্তের ফল প্রকাশ করে বেয়ারবক রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। জার্মান সংবাদ সংস্থা ডিপিএর সূত্র অনুযায়ী, জার্মানির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা ও সামরিক প্রতিরোধমূলক গোয়েন্দা সংস্থাও সেই তদন্তে অংশ নিয়েছিল। তদন্তকারীদের ধারণা, ইউরোপজুড়ে এক সার্বিক সাইবার গুপ্তচরবৃত্তির আওতায় জার্মানির এসপিডি দলকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে রাশিয়া।
মন্তব্য করুন