রাশিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজ ডুবিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে ইউক্রেন। দেশটির দাবি, অধিকৃত ক্রিমিয়া বন্দরে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) একটি যুদ্ধজাহাজে ড্রোন হামলা করা হয়। এতে জাহাজটি ডুবে গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কিয়েভের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনী জানিয়েছে, জাহাজটির পোর্ট সাইডে ইউক্রেনের নৌবাহিনীর ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়। যদিও হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি রাশিয়া। তবে তারা বুধবার সকালে জানিয়েছে, কৃষ্ণ সাগরে ছয়টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। ক্রেমনিলও বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
টেলিগ্রামে এক পোস্টে সেনাবাহিনী জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গোয়েন্দা ইউনিট ও ইউক্রেনের সেনাবাহিনী যৌথভাবে সিজার কুনিকভ জাহাজ ধ্বংস করেছে। এটি হামলার সময়ে ইউক্রেনের আলুপকার কাছাকাছি পানিসীমায় অবস্থান করছিল।
গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, সিজার কুনিকভ নামের এ জাহাজটিতে ৮৭ জন ক্রু সদস্য অবস্থান করতে পারেন। এ জাহাজটি সিরিয়া, জর্জিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধে সক্রিয় ছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কৃষ্ণসাগরে একটি জাহাজ থেকে ধোঁয়া উঠার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া রাশিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, সাগরে হেলিকপ্টার দিয়ে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, রুশ মিলিটারি ব্লগাররাও সিজার কুনিকভে হামলার তথ্যটিকে সমর্থন করেছেন। তারা বিভিন্ন সময়ে সেনাবাহিনীর আগেই বিভিন্ন ঘটনার তথ্য প্রকাশ করে থাকে। ফলে ব্লগারদের এ দাবি সত্য হলে চলতি মাসে কৃষ্ণ সাগরে রুশ যুদ্ধজাহাজে দ্বিতীয়বার হামলার ঘটনা হবে। এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন মাগুরা ভি-৫ সামুদ্রিক ড্রোন দিয়ে রুশ যুদ্ধজাহাজ ইভানোভেটসে হামলা চালায়।
মন্তব্য করুন