রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একাই কাঁপিয়ে দিচ্ছেন গোটা পশ্চিমাদের। তার মুন্সিয়ানার কাছে রীতিমত নাকানি-চুবানি খাচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকা। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে আরও ভালো ভাবে টের পাওয়া যাচ্ছে বিশ্ব রাজনীতিতে কতোটা ঘাগু পুতিন।
শুধু যুদ্ধ আর রাজনৈতিক জটিল সমীকরণের কারণেই নয়; তার চলাফেলার স্টাইল আর রাজকীয় ভাব-ভঙ্গির কারণে অনেকের কাছেই বেশ জনপ্রিয় তিনি। কারণ বিলাসবহুল জীবন-যাপন থেকে শুরু করে নিজের শখ পূরণে কোনো কিছুই বাকি রাখেননি পুতিন। জুডোতে ব্ল্যাকবেল্টধারী ৭১ বছর বয়সী এই নেতা সবকিছু প্রকাশ্যে করতেই ভালোবাসেন। কখনো গ্লাইডারে চড়ে আকাশ ছুঁতে চেয়েছেন, কখনো ডুব দিয়েছেন সাগরের গভীরে। কাজের ফাঁকে ছুটে গেছেন অবকাশ যাপনে। নেমে পড়েন মাছ শিকারে।
অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে আসলে কত অর্থ-সম্পদের মালিক সাবেক এই গোয়েন্দা প্রধান। মার্কিন গ্লোবাল বিজনেস ম্যাগাজিন ফরচুন বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নেতা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার ব্যক্তিগত সম্পদের মোট মূল্য বর্তমানে ২০০ বিলিয়ন বা ২০ হাজার কোটি ডলারের বেশি।
ফরচুনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, পুতিনের বার্ষিক বেতন এক লাখ ৪০ হাজার ডলার। তার নিজের নামে রয়েছে একটি ৮০০ বর্গফুটের অ্যাপার্টমেন্ট, একটি ট্রেলার এবং তিনটি গাড়ির মালিকানা। এছাড়া পুতিনের সম্পদের তালিকায় আছে আরও ১৯টি বিলাসবহুল বাড়ি, ৭০০টি গাড়ি, ৫৮টি বিমান ও হেলিকপ্টার। পাশাপাশি নিজের চলাচলের জন্য আছে ফ্লাইং ক্রেমলিন নামে একটি ব্যক্তিগত বিমান। যার বাজার মূল্য ৭১ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার।
পুতিনের কথিত এসব সম্পদের মধ্যে সবচেয়ে বিলাসবহুল হলো কৃষ্ণসাগরের প্রাসাদ, যা সাধাণরত ‘পুতিনের কান্ট্রি কটেজ’ নামে ডাকা হয়। এতে রয়েছে পাহাড়ের ওপর অবস্থিত গ্রিক দেবতাদের মূর্তি দিয়ে সজ্জিত একটি মার্বেল সুইমিং পুল, একটি অ্যাম্ফিথিয়েটার, অত্যাধুনিক আইস হকি রিংক, ভেগাস-স্টাইলের ক্যাসিনো এবং এমনকি একটি নৈশক্লাবও রয়েছে সেখানে। এই প্রাসাদের অভ্যন্তরে রয়েছে ৫ লাখ ডলার মূল্যের ডাইনিং রুমের আসবাবপত্র, ৫৪ হাজার ডলার মূল্যের একটি বার টেবিল।
রাজকীয় এই প্রাসাদে দৈনিক কাজ করেন ৪০ জন কর্মী। যাদের বার্ষিক বেতনই দিতে হয় ২০ লাখ ডলার। পশ্চিমারা ধারণা করেছিলো ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরে টানা নিষেধাজ্ঞার ফলে কোণঠাসা হয়ে পড়বেন পুতিন। কিন্তু উল্টো অর্থনৈতিকভাবে ফুলেফেঁপে উঠেছে রাশিয়া।
মন্তব্য করুন