জার্মানিতে অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে লাখো মানুষ। দেশটিতে কট্টর ডানপন্থি রাজনৈতিক দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানির (এএফডি) অভিবাসন ও শরণার্থী নীতির বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভ করেন তারা। রোববার (২১ জানুয়ারি) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জার্মান সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শনিবার দেশটির বিভিন্ন শহরে এ বিক্ষোভ পালিত হয়েছে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘ফ্যাসিবাদ বিকল্প নয়’ লেখা প্রদর্শন করে ব্যাঙ্গাত্মকভাবে অলটারনেটিভ ফর জার্মানির (এএফডি) সমালোচনা করেন।
দেশটির কট্টর জানপন্থি দলের সদস্যরা জার্মানি থেকে গণহারে অভিবাসী বের করে দিতে একটি বৈঠকে মিলিত হন বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর লাখো মানুষ এ বিক্ষোভ পালন করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ‘গণতন্ত্রকে রক্ষা করুন—এএফডির বিরুদ্ধে ফ্রাঙ্কফুট’ শীর্ষক ব্যানারে জার্মানির অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্রে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেন। একইভাবে উত্তরাঞ্চলের শহর হানোভের এ প্রায় সমানসংখ্যক লোক ‘নাৎসিকে বের করো’ শীর্ষক পোস্টারে বিক্ষোভ করেন। এ ছাড়া পশ্চিমাঞ্চলের শহর ডর্টমাউন্ডেও প্রায় ৩০ হাজার লোক বিক্ষোভ করেছেন।
গত এক সপ্তাহ ধরে ব্রাউনশওয়েগ, এরফুর্ট, ক্যাসেলসহ বিভিন্ন শহরে প্রতিনিয়ত বিক্ষোভ পালিত হয়ে আসছে। জার্মানির টেলিভিশন এআরডি জানিয়েছে, শনিবার দেশটিতে দুই লাখের বেশি মানুষ বিক্ষোভ পালন করেছেন। সব মিলিয়ে গত সপ্তাহের শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত রাজধানী বার্লিনসহ অন্তত ১০০ জায়গায় এ বিক্ষোভ পালিত হয়েছে।
গত ১০ জানুয়ারি জার্মানির অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম কারেকটিভের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এএফডির সদস্যরা অভিবাসীদের এবং যারা মূলস্রোতের সাথে মিশতে পারেননি তাদের বের করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে একটি বৈঠক করেছেন। এ বৈঠকে অস্ট্রিয়ার আইডেন্টিটারিয়ান মুভমেন্টের নেতা মার্টিন সেলনার উপস্থিত ছিলেন। ‘গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট’ নামের এক তত্ত্বের সাথে তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে।
পূর্ব জার্মানির ৩টি বৃহৎ আঞ্চলিক নির্বাচনের মাসখানেক আগে এ বৈঠকের খবর সামনে এসেছে। জরিপ অনুসারে সারা দেশে জনপ্রিয়তায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এএফডি। ফলে বিষয়টি নিয়ে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
মন্তব্য করুন