রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা হিসেবে পরিচিত ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিনের মৃত্যু নিয়ে নতুন ইঙ্গিত দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, প্লেনের ভেতরে গ্রেনেড বিস্ফোরণে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। খবর আলজাজিরা।
পুতিন বলেন, প্রিগোজিনের সঙ্গে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের শরীরে বিস্ফোরকের আলামত পাওয়া গেছে। রাশিয়ার তদন্তকারী দল এ আলামত পেয়েছে। ফলে বিমানটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে নয়, বরং এটি ভেতরে বিস্ফোরণের কারণে বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে।
রাশিয়ার সোচি শহরে ভালদাই ডিসকাশন ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের দেহে হাতবোমার টুকরো পাওয়া গেছে। বিমানটিতে বাহ্যিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ফলে এটি এখন প্রতিষ্ঠিত সত্য।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এমন দাবি করলেও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের দাবি, বিমানটি ভূপাতিত করা হয়েছে।
পুতিন বিমানে বিস্ফোরণের ইঙ্গিত দিলেও এক্সিকিউটিভ জেটে কীভাবে গ্রেনেড বিস্ফোরণ হতে পারে তা স্পষ্ট করেননি। তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের শরীরে অ্যালকোহল এবং ড্রাগ পরীক্ষা না করা তদন্তকারীদের ভুল ছিল। আমার মতে, এই ধরনের পরীক্ষা করা উচিত ছিল। তবে এটা করা হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ২৩ আগস্টে আফ্রিকা থেকে রাশিয়া যাওয়ার পথে ‘এমব্রেয়ার লিগ্যাসি’ নামের একটি বিমান বিধ্বস্ত ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিনসহ ১০ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ওয়াগনারের আরেক শীর্ষ নেতা দিমিত্রি উটকিনসহ তার চার দেহরক্ষীও ছিলেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবেই পরিচিত ছিলেন ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান প্রিগোজিন। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশটিতে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছিল ওয়াগনার সেনারা। এমনকি ইউক্রেনের বাখমুত শহর দখলে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে ওয়াগনার বাহিনী।
তবে রুশ সামরিক নেতাদের প্রতি অসন্তোষ থেকে গত ২৩ জুন বিদ্রোহের ঘোষণা দেন প্রিগোজিন। যদিও বেলারুশের প্রেসিডেন্টের লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় সেই বিদ্রোহ সরে আসেন তিনি।
মন্তব্য করুন