রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশ লিথুয়ানিয়ায় সেনা মোতায়েনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জার্মানি। এরই মধ্যে এ বিষয়ে একটি রোডম্যাপ প্রণয়ণে কাজ শুরু করে দিয়েছে দুই দেশ। গতকাল সোমবার (২ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যম ইআরআরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস।
জার্মানি ও লিথুয়ানিয়া পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য। কয়েক সপ্তাহ আহে লিথুয়ানিয়ায় আরও ৪ হাজার জার্মান সেনা মোতায়েনের কথা জানিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস। অবশ্য ন্যাটোর ব্যাটলফ্রন্টের অংশ হিসেবে বর্তমানে লিথুয়ানিয়ায় দেড় হাজার জার্মান সেনা অবস্থান করছে।
জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ন্যাটোর পূর্ব ইউরোপীয় উইংয়ের প্রতি সংহতি প্রদর্শনের অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে সেনা মোতায়েনের আগে এখনো অনেক বাকি। আগামী নভেম্বরের শেষ দিকে বা ডিসেম্বরের শুরুর দিকে এ বিষয়ে একটি রোডম্যাপ প্রণয়নের প্রত্যাশা করছে জার্মানি ও লিথুয়ানিয়া।
এর আগে গত রোববার (১ অক্টোবর) ইউক্রেনে ব্রিটিশ সেনা মোতায়েন করার কথা জানিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস। রুশ সেনাদের মোকাবিলায় জেলেনস্কি বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিতেই তাদের মোতায়েন করার কথা জানিয়েছিল যুক্তরাজ্য। যদিও পরে মস্কোর হুমকিতে এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে যুক্তরাজ্য।
স্থানীয় সময় রোববার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক জানান, এখনই ইউক্রেনের ব্রিটিশ সেনা মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা নেই। যদিও এর আগে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস কিয়েভের সহায়তায় সেখানে সেনা মোতায়েনের কথা জানিয়েছিলেন।
এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে বিপুল সামরিক সহায়তা দিলেও সরাসরি সেনা মোতায়েন থেকে বিরত থেকেছে পশ্চিমা দেশগুলো। রাশিয়ার সঙ্গে ন্যাটোর সরাসরি সংঘাত এড়াতেই এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে না তারা। বিশ্লেষকরা বলছেন, এমনটা করা হলে তা হবে পারমাণবিক হামলার ও তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর চূড়ান্ত ধাপ।
এর আগে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস জানান, রুশ সেনাদের মোকাবিলায় ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে উন্নত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে কিয়েভে সামরিক প্রশিক্ষক পাঠাতে পারে যুক্তরাজ্য। পশ্চিমা বহুদেশ ইউক্রেনের সেনাদের নিজ দেশে প্রশিক্ষণ দিলেও এখনো কেউ কিয়েভে সামরিক প্রশিক্ষক পাঠায়নি।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। তিনি জানান, ইউক্রেনে যদি ব্রিটিশ সেনা পাঠানো হয় তবে তারা রুশ বাহিনীর বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।
মন্তব্য করুন