ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই কিয়েভকে সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমারা। রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হতে পারে এমন আশঙ্কায় এতদিন ইউক্রেনে সেনা পাঠানো থেকে বিরত ছিল পশ্চিমারা। তবে এবার সেই নীতি বদলে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর কথা ভাবছে ব্রিটিশ সরকার। গতকাল সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। রাশিয়ার আগ্রসনের মুখে ইউক্রেনকে সহায়তা করতে এগিয়ে আসে পশ্চিমা মিত্ররা। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অর্থ সহায়তার পাশাপাশি কিয়েভের সেনাদের সমরাস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে তারা। তবে এতদিন ইউক্রেনে আনুষ্ঠানিকভাবে সেনা পাঠানো থেকে বিরত ছিল যুক্তরাজ্য ও এর মিত্ররা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সানডে টেলিগ্রাফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস বলেছেন, যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে ব্রিটিশ সেনারা। এবার তাদের প্রশিক্ষণ দিতে ইউক্রেনে সামরিক প্রশিক্ষক মোতায়েন করতে চায় ব্রিটিশ সরকার।
গত এক বছরে যুক্তরাজ্য প্রায় ২০ হাজার ইউক্রেনীয় সেনাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। সামনের দিনেও এই পরিমাণ সেনাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার ব্রিটিশ সেনাপ্রধানদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ইউক্রেনের ভেতরে তাদের সেনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, আমি ইউক্রেনের সেনাদের প্রশিক্ষণের বিষয়টি আরও সামনে নিয়ে যেতে চাই। আসলে আমি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ইউক্রেনের ভেতরে নিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছি। বিশেষ করে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেসের পদত্যাগের পর গত ১ সেপ্টেম্বর শাপসকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
মন্তব্য করুন