বাংলাদেশকে ‘নিরাপদ দেশ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বাংলাদেশ ছাড়াও আরও ৬টি দেশকে নতুন করে এ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশ, কসোভো, কলম্বিয়া, মিসর, ভারত, মরক্কো এবং তিউনিশিয়াকে ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে প্রস্তাব দিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) তাদের ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশসহ ৭টি দেশকে যুক্ত করেছে। এর মাধ্যমে ইইউ’র অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত ইউরোপে রাজনৈতিকভাবে এবং সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা দেখিয়ে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের জন্য বড় ধরনের বিপদ সংকেত। বহু বাংলাদেশি এসব কারণ দেখিয়ে ইউরোপে আশ্রয় নিয়ে আছেন। যেখানে বাংলাদেশকে ‘নিরাপদ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হলে তাদের সেই আশ্রয় পাওয়ার পথ জটিল ও সংকুচিত হয়ে পড়বে।
ইইউর এ উদ্যোগের সমালোচনা করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। কারণ ইউরোপীয় দেশগুলোর সরকার এখন আশ্রয় আবেদনগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে পারবে।
নতুন করে ৭টি দেশকে ‘নিরাপদ দেশ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করায় এসব দেশের মানুষের ইইউ দেশগুলোতে আশ্রয় পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। এছাড়া এরমাধ্যমে ওই দেশগুলোতে আশ্রয়ে থাকা প্রবাসীদের ফেরানোর পথটিও সহজ করা হবে।
শরণার্থীবিষয়ক ইইউ কমিশনার ম্যাগনাস ব্রুনার বলেছেন, ‘অনেক সদস্য রাষ্ট্রের অসংখ্য আশ্রয় আবেদন জমা পড়ে গেছে। এগুলো নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়াকে আমরা এখন সমর্থন করতে পারি।’
অবৈধ অভিবাসন বন্ধ এবং অভিবাসীদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ইইউর ওপর গত কয়েক বছর ধরেই চাপ বাড়ছে। সেখানকার মানুষের মতে, অভিবাসনের কারণে তাদের দেশে কট্টর ডান রাজনীতি প্রসারিত হচ্ছে। তাই দেশগুলো এখন অভিবাসন সীমিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানায়, তাদের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করা দেশগুলোও নীতিগতভাবে ‘নিরাপদ’ দেশ হিসেবে বিবেচিত হবে। ইইউ বলছে, এই তালিকায় সামনে আরও দেশকে যুক্ত করা হবে। যেসব দেশকে ‘নিরাপদ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তাদেরকে আর তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে না।
মন্তব্য করুন