প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে গ্রেপ্তারের জেরে উত্তাল তুরস্ক। দেশটিতে ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণার আগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরই মধ্যে জরিপে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। ফলে তাকেই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ঘোষণা করেছে প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) ।
সোমবার (২৪ মার্চ) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মিনিউসিপাল কর্মকর্তারা জানান, তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল সিএইচপি আয়োজিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাথমিকভাবে জরিপে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলু। তিনি প্রায় ১৫ মিলিয়ন ভোট পেয়েছেন।
পৌর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল সিএইচপি আয়োজিত রাষ্ট্রপতি প্রাইমারিতে প্রায় দেড় কোটি মানুষ কারাবন্দি ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে ভোট দিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয়ভাবে ক্রমবর্ধমান সমর্থনের ইঙ্গিত হিসেবে, দলটি সোমবার রাতে ঘোষণা করেছে যে দলের প্রায় ১.৭ মিলিয়ন সদস্য এবং দলের বাইরে ১ কোটি ৩০ লাখ সদস্য ইমামোগলুকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী হিসেবে সমর্থন করেছেন। ২০২৮ সালে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
গত বুধবার প্রেসিডেন্ট এরদোগানের শীর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচিত ইমামোগলুকে আটক করার পর থেকে দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। রোববার তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, যা অস্থিরতাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
এরদোগানের সমালোচকরা জোর দিয়ে বলছেন, আসন্ন নির্বাচনই তাকে গ্রেপ্তারের প্রাথমিক কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এত বিপুল সংখ্যক মানুষ ভোটগ্রহণে অংশ নিয়েছিলেন যে ভোটগ্রহণের সময় সাড়ে তিন ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। তবে এরদোগানের সরকার অস্বীকার করেছে যে, ইমামোগলুর গ্রেপ্তার রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল। তারা বলছে, তুরস্কের আদালত স্বাধীন।
সিএইচপির চেয়ারম্যান ওজগুর ওজেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে লিখেন, আমাদের সদস্যদের এবং সংহতি ব্যালট বাক্স থেকে একরেম ইমামোগলুর পক্ষে ভোটের সংখ্যা ১৪ মিলিয়ন ৮৫০ হাজারেরও বেশি। আজকের ফলাফল এরদোগানের বৈধতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য সম্পূর্ণরূপে উন্মুক্ত করে দিয়েছে এবং আগাম নির্বাচনের ব্যালট বাক্স অনিবার্য করে তুলেছে। আসুন বেরিয়ে আসি এবং চ্যালেঞ্জ জানাই!
মন্তব্য করুন